সোমবার করোনা পরবর্তী প্রথম বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি মহম্মদ সেলিমের

রাজেন রায়, কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি: ২০২০ সালে বাজেটের পর আচমকা সারা বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারি প্রকোপ এবং বিপুল হারে মৃত্যু প্রভাব ফেলেছিল ভারতের অর্থনীতিতেও। সমস্ত খরচ বন্ধ রেখে বিপর্যয়ের কারণে স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়িয়ে দিতে হয়েছিল কেন্দ্রকে। তবে গত এক বছরে সেই অতিমারীকে অনেকটাই কাটিয়ে উঠে এবার দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চলতি বছরেও দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে কেন্দ্রকে। এমনটাই দাবি করলেন সিপিএমের সংসদীয় দলের নেতা মহম্মদ সেলিম।

সোমবার সকালে সংসদে পেশ হতে চলেছে চলতি বছরের বাজেট। তার আগে এই দাবি করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আমাদের দাবি, এটা জিডিপি-র ৪% করতে হবে। আগে আমরা বলতাম ২%। করোনার প্রভাব এদেশের উৎপাদনশীলতা তলানিতে ঠেকে গিয়েছে। আমরা যখন কেন্দ্রের সরকারকে সমর্থন করতাম, তখন স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ ছিল জিডিপি-র ১.২৮% । মোদীর আমলে এটা ১% এর নিচে চলে গেছে।

সেলিম আরও বলেন, “করোনার ফলে ৪৬% মানুষ ঋণগ্রস্থ হয়েছেন, যাদের ওপর বেশি দায়িত্ব ছিল তারা সেটা পালন করেননি। অপরিকল্পিত লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
আচমকা সব বন্ধ করে দেওয়া হল। অগণিত ঘরহীন মানুষ কি করবেন? প্রধানমন্ত্রী ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তালি বাজাতে বললেন। ধনীরা আরও বড় লোক হয়েছেন। রেশন ব্যবস্থা ছিল দেখে কিছুটা সামলানো গেছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী উঠে যেতে বসেছে। সরকার বলে, স্যানিটাইজার ব্যবহার কর। কিন্তু সরকার সেটা দিলেন না। কেন্দ্র, রাজ্য এই ব্যাপারে একই ভূমিকা নিয়েছে। পুলিশ মানুষকে লাঠি দিয়ে ঠান্ডা করেছে। সরকার এই সময় খনি, গুদাম বেচে দিয়েছে। এসব ভুললে চলবে না। ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমির কথা বলেছিলো বিজেপি সরকার। এখন সেটা শূন্যে পৌঁছেছে। এখন বলছে যেখানে শেষ হয়েছিল আবার সেখানে পৌঁছবো। শিল্প সংকট, কৃষি সংকট, বেকারি সমানে বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কৃষি সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”

এদিন মহম্মদ সেলিম তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল-বিজেপিকে তীব্র সমালোচনা করেন।বলেন ইনস্টলমেন্টে তৃণমূলকে নিচ্ছেন কেন? পিসি-ভাইপোকে একবারে নিয়ে নিক। বিজেপি-র তো অনেক টাকা। আসলে একবারে নিয়ে নিলে ভোট পর্যন্ত খবরের হেডলাইনে থাকা যাবে না, সব ভোটের অংক। রাজনৈতিক মতাদর্শ ঠিক থাকলে দলবদলের প্রয়োজন হয় না। ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *