আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৩ ডিসেম্বর: সিএবি জুজু! বিজেপি ছাড়লেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। মফিজুদ্দিনের ফের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা। বুধবার রাজ্য সভায় নাগরিকত্ব বিলে সীলমোহর মিলতেই মুসলিম অধ্যুষিত কুমারগঞ্জে ভোট ব্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার আতঙ্ক পিছু নেয় বিজেপির ওই নেতার। আর যার পরেই শুক্রবার বিকেলে কুমারগঞ্জের দিওড়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন মফিজুদ্দিন মিঞা। যাকে ঘিরে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এদিকে বিজেপি থেকে সরে আসতেই পুনরায় তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা উস্কে উঠেছে তার নিজস্ব এলাকা দিওড়ে।
যদিও মফিজুদ্দিন মিয়াঁ জানিয়েছেন, আপাতত তিনি কোনও দলেই যাচ্ছেন না। নির্দলই থাকছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ এদিন টেলিফোনে জানান, মফিজুদ্দিন মিঞাকে নিয়ে তৃণমূলের কোনও ভাবনাই নেই।
প্রায় সাত মাস আগে প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করেন জেলা পরিষদের ১০ সদস্য। জেলায় ফিরতেই তাঁদের মধ্যে কিছু সদস্য পুনরায় তৃণমূলে ফিরে আসেন। যার পরেও জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও অন্যান্য সদস্যরা বিজেপিতেই থেকে যান। বিপ্লব মিত্রের অন্যতম সঙ্গী মফিজুদ্দিন মিঞা কুমারগঞ্জের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে জয় লাভ করেন। তৃণমূলে থাকাকালীন কিষাণ ক্ষেত মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি, কিন্তু দল পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগদানের পরেই এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। বিজেপিতে যোগদানকারী জেলাপরিষদের বেশকিছু সদস্য ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় সেখানেও কোনঠাসা হন মফিজুদ্দিন। এদিকে বিজেপিতে ঢোকবার পর সেখানেও তেমনভাবে কোনও সুবিধা আদায় করতে না পারায় কিছুটা চাপে পড়েন তৃণমূল ত্যাগী ওই নেতা। এমন পরিস্থিতিতে লোকসভার পর রাজ্য সভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হতেই এলাকার ভোট ব্যাঙ্ক হারানোর আশঙ্কায় ঘুম ওড়ে ওই বিজেপি নেতার। যার পরেই দলকে চিঠি দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি ত্যাগের কথা জানান মফিজুদ্দিন মিঞা।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জানিয়েছেন, দলে যোগদানের পর থেকেই কোন প্রকার কর্মকান্ডে যুক্ত ছিলেন না মফিজুদ্দিন মিঞা। বিজেপির নীতি আদর্শ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানেন না তিনি। পদ চেয়েছিলেন, যা না পাওয়ায় দল পরিবর্তন করেছেন। এই দল পরিবর্তনে বিজেপিতে কোনও প্রভাবই পড়বে না।