আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৫ মার্চ : লকডাউনে বন্ধ সব। রুজি-রুটিতে টান পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের। হতাশায় দিন গুনছিলেন সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে আশার আলোয় বুক বেঁধে কাজে নেমে পড়েছেন কুমোররা। করোনা রুখতে প্রধনমন্ত্রীর ঘোষনায় অকাল দেওয়ালীর অপক্ষোয় পাশাপাশি দেশে। তাই প্রদীপ তৈরির ধুম পড়েছে কুমোর পাড়াতে।
করোনা মহামারি কেড় নিয়েছে অনেক প্রাণ, আক্রান্ত কয়েক হাজার মানুষ। এই মহামারি রুখতে এখন চলছে লকডাউন। কিন্তু লকডাউনে অধৈর্য হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। তাই দেশবাসীর মনোবল বৃদ্ধি করতে ও দেশের মানুষের কথা স্মরন করতে যারা সামনে থেকে এই ভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা- ৫ এপ্রিল রাত্রি ন’টায় নয় মিনিটের জন্য বাড়ির সমস্ত বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে বাড়ির বারান্দায় শুধু মোমবাতি, প্রদীপ কিংবা মোবাইল বা টর্চের আলো জ্বালাতে।
তাই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক হলদিয়া, কাঁথি সমস্ত জায়গায় কুমোর পাড়া এখন ব্যস্ত প্রদীপ তৈরিতে। তাদের কথায় অনেক মানুষ অর্ডার দিয়েছে প্রদীপ নেওয়ার জন্য। যত অর্ডার এসেছে ততো প্রদীপ তৈরি করা সম্ভব নয়, একদিনে তারা যতটা পারছে তৈরির চেষ্টা করছেন।
পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন মুদি দোকান থেকেও মানুষ জন মোমবাতি কিনে নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে। সমস্ত মানুষ সব ভেদাভেদ ভুলে করোনা রুখতে এখন একজোট।
লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ মনের অন্ধকার জয় করে আলোর পথে চলতে পারবে। মনের ভেতরে থাকা শক্তিকে জাগিয়ে তুলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে। কিছু মানুষ বিরোধিতা করলেও বহু মানুষই কিন্তু আজকের এই আলো জ্বালানোতে সামিল হবেন বলে জানা গেছে।