আমাদের ভারত, ৭ অক্টোবর: ২৪ বছর আগে সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন অর্থাৎ ২৫ বছর ধরে সরকারের প্রধান হয়ে জনসেবা করছেন। সেই জনগণকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমাজ মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মানুষের জন্য এভাবেই কাজ করে যাওয়ার শপথ নিলেন আবার। স্মরণ করলেন মায়ের পরামর্শ।
২৪ বছর আগে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। একই সঙ্গে আঙুল তুলেছেন পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের দিকেও।
২০০১ সালে আজকের তারিখে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেলকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন তিনি। মোদী লিখেছেন, ২০০১ সালে এই দিনে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নিয়েছিলাম। সরকারের প্রধান হিসেবে জনগণের সেবা করছি ২৫ বছর ধরে। তার জন্য ভারতবাসীকে ধন্যবাদ। ভারতের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এতগুলো বছর ধরে সব সময় চেষ্টা করেছি যাতে আমাদের জীবন যাপন ও দেশের উন্নতি হয়।
কোন কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তার কথাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্য তার দলও তার উপরে আস্থা রেখেছিল সে কথাও মনে করিয়েছেন তিনি। ওই বছর ভূজে ভূমিকম্প হয়েছিল, প্রাণ হারিয়েছিল বহু মানুষ। সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ওই বছরই বড় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ছিল রাজ্য। তার আগের বছরগুলিতে হয়েছিল সুপার সাইক্লোন, খড়া, রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো একাধিক চ্যালেঞ্জগুলি মানুষের সেবা করার সংকল্প আরো দৃঢ় করেছিল। প্রাণশক্তি এবং আশা দিয়ে গুজরাট পুনর্গঠনের সংকল্প আরো মজবুত করা হয়েছিল বলে লিখেছেন মোদী।
মোদী জানান, শপথ নেওয়ার দিনে মা হীরাবেন দুটি পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেকথাও স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তখন মা দুটি কথা বলেছিলেন, তা এখনো মনে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, আমি তোমার কাজ খুব বেশি বুঝি না, কিন্তু দুটি জিনিস চাই, এক তুমি সব সময় গরিবদের জন্য কাজ করবে, দুই তুমি কখনো ঘুষ নেবে না। তিনি জানান, মায়ের সেই কথা মেনে আজও প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন তিনি।
গত ২৪ বছর ধরে সরকার চালানোর সময় কী অভিজ্ঞতা হয়েছে তাও লিখেছেন মোদী। কোন কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে তাও জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হই তখন মনে করা হয়েছিল গুজরাটে কোনো উন্নতি করবে না। কৃষক সহ সাধারণ মানুষ জল বিদ্যুতের অভাব নিয়ে অভিযোগ করতেন। কৃষি শিল্পে উন্নতি আটকে ছিল। সেখান থেকে আমরা গুজরাট তুলে নিয়ে এসেছি। তিনি আরো জানান, অতীতে খড়া নিয়মিত হতো, কারফিউ চলত। এসব গুজরাটের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু ক্রমে সেই ছবি পাল্টে যায়।
এরপরই তিনি আঙ্গুল তুলেছেন পূর্বতন ইউপিএ সরকারের দিকে। তিনি লিখেছেন, সেই সময় ভরসা এবং সুশাসনের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল দেশে। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ নীতি পঙ্গুত্বের সমার্থক ছিল ইউপিএ সরকার। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ দেশে কিভাবে উন্নয়ন হচ্ছে কিভাবে বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণ হচ্ছে তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবেগঘন ভাষায়।

