আমাদের ভারত,৬ ফেব্রুয়ারি:” আর ছয় মাস পরে মোদীকে ডান্ডাপেটা করতে পারে আজকের যুবসমাজ”। সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জবাবী ভাষণ দেওয়ার সুযোগে মোদী রসিকতার মেজাজে তীব্র কটাক্ষের তীর ছোড়েন রাহুল গান্ধীর দিকে। আজ একের পর এক নিশানা দাগলেন মোদী,তবে শুধু শুধু রাহুল নয়, মোদীর নিশানায় ছিল কংগ্রেসও।
জবাবী ভাষণ দিতে উঠে নিজের সরকারের একের পর এক সাহসী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি কংগ্রেসকে বিঁধতে থাকেন। ৩৭০ ধারা রদ, রাম মন্দির বিতর্কের সমাধান, তিন তালাক তুলে দেওয়ামতো বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কংগ্রেস আমলের তুলনায় তার সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার দিকটি তিনি তুলে ধরেন। বুঝিয়ে দেন কংগ্রেসের আমলের তুলনায় তার সরকার কতটা গতিশীল।
রাহুল গান্ধীর দিকে নিশানা দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস নেতা বলেছেন, “ছয় মাসের মধ্যেই দেশের যুবসমাজ মোদীকে ডান্ডা পেটা করবে।” তিনি বলেন, এই কাজটা কিন্তু কঠিন। ততক্ষণে সাংসদদের হাসির রোল উঠেছে, শুরু হয়েছে শেম শেম ধ্বনী। মোদী ফের বলতে শুরু করেন, “আসলে ডান্ডা মারার কাজটা কঠিন বলেই সময় লাগবে। তা ভালো আমি এই ছয় মাসের সূর্য নমস্কারের সংখ্যা আরো বাড়াবো। এতে আরও নিজেকে শক্ত করতে পারব। রসিকতার মেজাজে মোদী বলেন, “গত কুড়ি বছর ধরে গালিগালাজ শুনে নিজেকে গালি প্রুফ তৈরি করে ফেলেছি, আর এই ছয় মাসে এমন সূর্য নমস্কার করবো যে নিজের পিঠ ডান্ডা প্রুফ তৈরি করে নেব।”
চূড়ান্ত খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন,”আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আমাকে ডান্ডা মারার কথা আগেই ঘোষণা করা হলো, আমিও এই ছয় মাসে ব্যায়াম করার সময় পাবো।”
এরপর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝে তাকে থামিয়ে বলতে চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী। তখনই আবার রসিকতা ভরা কটাক্ষের সুরে মোদী বলেন, “আমিতো ৩০-৪০ মিনিট ধরে বলছি, কিন্তু কারেন্ট পৌঁছাতে এত সময় লাগলো?” কিছুক্ষণ থেমে তিনি রাহুলের দিকে শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করেন, বলেন, “কিছু টিউবলাইট আছে যার জ্বলতে এতটাই সময় লাগে”।
উল্লেখ্য, বুধবার এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা দেগে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “মোদী অনেক ভাষণ দিচ্ছেন আমি বলছি ছয় থেকে সাত আট মাস কেটে যাক মোদী ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। দেশের যুব সমাজ তাকে এমন ভাবে লাঠিপেটা করবেন যে উনি সবকিছু বুঝে যাবেন। বুঝবেন রোজগারের ব্যবস্থা করা ছাড়া দেশ কখনোই এগোতে পারে না।” এদিন রাহুলের এই কটাক্ষের জবাবে রসিকতার মোড়কেই আক্রমণের শানালেন নরেন্দ্র মোদী।