আমাদের ভারত,১৬ ডিসেম্বর:”সংশোধিত নাগরিক আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং পীড়াদায়ক। বিতর্ক আলোচনা,সমালোচনা, প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অন্যতম অংশ কিন্তু সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে অস্থির করা যায় আঘাত হানা কোনো নৈতিক কাজের মধ্যে পড়ে না।” দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যে হিংসাত্মক চেহারা উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে টুইটারে এভাবেই সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী লেখেন, “সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৯ সংসদের উভয় কক্ষে বড়সড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই পাস হয়েছে। বেশি সংখ্যক সাংসদ এবং দেশের বেশি সংখ্যক রাজনৈতিক দলই এই আইনকে সমর্থন জানিয়েছে। এই আইন দেশের শতাব্দী প্রাচীন সংস্কৃত সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা,সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি আমার দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই ভারতবর্ষের কোন নাগরিক, তা সে যে কোন ধর্মেরই হোক না কেন এতে তাদের কোন ক্ষতি হবে না।”
মোদী আরও লেখেন, দেশের কোন নাগরিক যেনো এই নতুন আইন নিয়ে মনে কোনোরকম সংশয় বা দুশ্চিন্তা না রাখেন। কারণ এই আইন শুধুমাত্র তাদের জন্য, যারা বিগত বেশ কিছু বছর ধরে নিপীড়ন সহ্য করছে এবং যাদের ভারতবর্ষ ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।”
মোদী লেখেন, “এই সময় প্রত্যেক ভারতবাসীর আশু কর্তব্য ভারতবর্ষের উন্নয়নকে একসাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রত্যেক ভারতবাসী স্বনির্ভরতায় জোর দেওয়া। বিশেষ করে দরিদ্র এবং সীমান্তবর্তী মানুষের উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া।
মোদী লেখেন, যারা বিভাজনের নীতিতে বিশ্বাসী এবং যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে তাদেরকে কোন ভাবেই সমর্থন করা উচিত নয়। শান্তি, একতা এবং সৌহার্দের বজায় রাখার সময় এটা।
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি আপিল করেছেন, “যে কোনো রকম গুজব এবং মিথ্যে অপপ্রচার থেকেও নিজেকে সরিয়ে আনুন”।