আমাদের ভারত, ২১ মে : প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপর্যস্ত রাজ্য। ফলে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে টুইট করে পশ্চিমবঙ্গকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মোদী লিখেছেন, “ঘূর্ণিঝড় আমফনে পশ্চিমবঙ্গের বিপর্যস্ত পরিস্থিতির ছবি- ভিডিও দেখলাম। কঠিন এই সময় গোটা দেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে রয়েছে। রাজ্যের মানুষের সুস্বাস্থ্যের প্রার্থনা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Have been seeing visuals from West Bengal on the devastation caused by Cyclone Amphan. In this challenging hour, the entire nation stands in solidarity with West Bengal. Praying for the well-being of the people of the state. Efforts are on to ensure normalcy.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 21, 2020
একইসঙ্গে তিনি আরোও লেখেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকাকে স্বাভাবিক করতে এনডিআরএফ এর দল কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে। কেন্দ্রীয় আমলা সচিবরাও এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব বলেছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে সব রকম ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বুধবারই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,রাজনৈতিকভাবে নয় এই ঝড়ের বিপর্যয়কে মানবিকতার দিক দিয়ে দেখুন। এখন রাজনীতির দূরে থাক। বাংলাকে ধ্বংস থেকে উন্নয়নের পথে ফের দাঁড় করাতে হবে। সবার সহযোগিতা চাইছি। এমনিতেই করোনার কারণে অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থা। তার মধ্যে এই দুর্যোগবিরাট বড় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন পুনর্গঠনের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার টাস্কফোর্সের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে ত্রাণের কাজে নামবে প্রশাসন।
এদিকে ফোনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও।