সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১২ জানুয়ারি: অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল প্রধানমন্ত্রীর। বেলুড়ে স্বামী আত্মস্থানন্দ জির কাছে বহুকাল আগে তিনি দীক্ষা নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম তিনি স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবসে বেলুড়ে সময় কাটালেন। সকালে স্বামীজীর ঘরে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী, কিছু সময় ধ্যান করলেন। মাল্যদান করেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ছবিতেও।
এরপর তিনি সমবেত প্রার্থনা সঙ্গীত, রামকৃষ্ণ শরণংয়ে যোগ দেন। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরনে ছিল ব্রহ্মচারীর কায়দায় শ্বেতবস্ত্র। মঠে অনেকটা সময় ধ্যানে মগ্ন ছিলেন মোদী। এদিন বেলুড় মঠ জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ধ্যান শেষে বেলুড় ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে পুরো মঠ প্রদক্ষিণ করেন মোদী।
এদিন মোদিকে পেয়ে খুশির বেলুড়ের মহারাজরাও। ‘প্রধানমন্ত্রী বেলুড়ে আসায় আমরা গর্বিত’ বলে জানিয়েছেন স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। অন্যদিকে শনিবার বেলুড়ে নৈশভোজ সারার পর মোদি জানান, “প্রধানমন্ত্রী নয়, ঘরের ছেলে হিসেবেই ঘরে এসেছি।” শনিবার বেলুড়ে সন্ধ্যাআরতি দেখার পর ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউসে রাত্রিযাপন করেন তিনি।
একদিকে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবস অন্যদিকে বেলুড়ে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, তাই একসঙ্গে দুইয়ের দর্শন পেতে রবিবার সকাল সাড়ে ছটায় মন্দির খুলতেই দর্শনার্থীরা ভিড় জমাতে করতে শুরু করেন। আটটার পর ছাত্রদের প্রবেশ করানো হয় বেলুড়ে। সেখানেই ছাত্র যুবদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি কলকাতা বন্দরের অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান।