আমাদের ভারত, ১৮ নভেম্বর:মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসাথে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের কথাও বলেন তিনি। দু’দেশের কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করার ব্যাপারে ইতিবাচক কথা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে বলে টুইট করে জানিয়েছেন মোদী। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতিতে কমলা নির্বাচিত হওয়ার যথেষ্ট ফলপ্রসূ হবে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কিছু আগেই ভারতে এসেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। লাদাখ সীমান্ত ও চিন সাগরে বেনজিং-এর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। কথা হয়ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। কিন্তু এর মধ্যেই পরাজিত হন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসেন বাইডেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতি আসার পর দু’দেশের সম্পর্কে কোন পরিবর্তন হবে কি না তা নিয়ে একটা জল্পনা ছিল।মঙ্গলবার সেই বিষয়টি নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিন যেভাবে এগোচ্ছে তা মোটেই পছন্দ করছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন মাইক পম্পেও। মঙ্গলবার বাইডেনও জানিয়েছেন বিশ্বের একাধিক ইস্যু নিয়ে তিনি ভারতকে পাশে পেতে চান। জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা নিয়ন্ত্রণ দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল শান্তি বজায় রাখার মতো বিষয় তিনি ভারতকে পাশে পেতে চান বলে জানিয়েছেন।
Spoke to US President-elect @JoeBiden on phone to congratulate him. We reiterated our firm commitment to the Indo-US strategic partnership and discussed our shared priorities and concerns – Covid-19 pandemic, climate change, and cooperation in the Indo-Pacific Region.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 17, 2020
দু’দেশের নেতার মধ্যে কি কথা হয়েছে তা ট্যুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাস দমনে ভারতের উদ্যোগের পাশে থাকার পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী সদস্য পাওয়ার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারত পাশে পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরে এইচ ওয়ান বি ভিসা পাওয়ার কড়াকড়িও অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের আমলে চিনের মোকাবেলায় ভারত যেভাবে মার্কিন সমর্থন পেয়েছিল বাইডেনের সময়ে তা কতটা থাকবে তা এখনো সম্পূর্ণ স্পষ্ট না হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাঁধন শিথিল হয়নি তা ফোনালাপের কথা থেকে বোঝা যায়।