দেশের শিক্ষানীতিতে সরকারী হস্তক্ষেপ থাক ন্যূনতম : মোদী

আমাদের ভারত, ৭ সেপ্টেম্বর: দেশের শিক্ষানীতিকে অতিরিক্ত সরকারি প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা হোক। শিক্ষায় সরকারি হস্তক্ষেপ করা সঠিক নয়। সোমবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বিষয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত রাজ্যপালদের সম্মেলনের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মোদী বলেছেন,তাঁর সরকার জাতীয় শিক্ষানীতিতে ন্যূনতমসরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষে। তার কথায় নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে।দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে। ” উচ্চ শিক্ষা সংস্কারে ২০২০ জাতীয় শিক্ষানীতির ভূমিকা” শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক আয়োজিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক সহ বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য, শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

মোদী বলেন শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থা দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণের অন্যতম হাতিয়ার। কেন্দ্র, রাজ্য সরকার সহ স্থানীয় নির্বাচিত সংস্থাগুলির শিক্ষা ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ন্যূনতম হওয়া প্রয়োজন। বিদেশ কিংবা প্রতিরক্ষানীতি যেমন শুধু সরকারি বিষয় নয় তা রাষ্ট্রের বিষয়। তেমন শিক্ষানীতি রাষ্ট্রীয় বিষয়। তাঁর মতে দেশের জনগণের সম্মিলিত ভাবে শিক্ষানীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে দায়িত্ব নেওয়া উচিত।

মোদী দাবি করেন শুধু লেখাপড়াই নয় জাতীয় শিক্ষানীতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। কেরলের সদ্যপ্রয়াত সমাজকর্মীর ও দার্শনিক কেশবানন্দ ভারতী কথা এদিন মোদী তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে ভারতীর দায়ের করা মামলা, যে ভারতীয় সংবিধানের মূল কাঠামো সংক্রান্ত দিশা নির্দেশ দিয়েছিল সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে শিক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় নীতি ঘোষণার ৩৪ বছর পর একবিংশ শতাব্দীতে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *