কোনও ভারতীয়কে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না, আশ্বস্ত করলেন মোদী

আমাদের ভারত,২২ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। কিন্তু আন্দোলনের জবাবে প্রথম তাই কিছুটা ধীরে চলো নীতিতে এগোলেও এবার একেবারে তেড়ে-ফুঁড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে প্রচারে নামল বিজেপি। দশদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে সেই কাজের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় দেড় লক্ষ বেশি মানুষের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। কোনও ভারতীয়কে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না।

মোদী বলেন, দেশের মানুষের ভালোর জন্যই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে। এতে দলিত গরিব সব মানুষের সুবিধে হবে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজব ছড়িয়ে অশান্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে। আর এতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতি হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই ধরনের মিথ্যের সাহায্য নিচ্ছে কিছু দল।

মোদী বলেন, “কেন এভাবে শুধুমাত্র আমাকে আক্রমণ করতে গিয়ে দেশের সম্মান নষ্ট করছে বিরোধী দলগুলি? আমি অনুরোধ করবো আমাকে আক্রমণ করছেন করুন, দরকার হলে জুতা মারুন, কুশপুতুল পোড়ান। কিন্তু আমার উপর রাগ করে দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করবেন না, গরিব অটোচালকের অটো ভাঙ্গবেন না। স্বাধীনতার পর থেকে ৩৩ হাজার পুলিশ কর্মী নিজের জীবন বলিদান দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাদের উপর অযথা আক্রমণ করছেন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার নামে।

মোদী আশ্বস্ত করে বলেন যে আইন পাশ হয়েছে তাতে কেউ বঞ্চিত হবেন না। সংসদে যে আইন পাশ হয়েছে তাতে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার সুবিধাই হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কংগ্রেস ডিটেনশন ক্যাম্পে এনআরসি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের মতো বিভাজনের রাজনীতি করেন না বিজেপি। কংগ্রেসের আমলেই এনআরসি হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস তা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। আমাদের সময় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুধুমাত্র অসমে এনআরসি হয়েছে। বাকি জায়গায় না হলেও অযথা তার বিরোধিতা করা হচ্ছে। আর তা শুনে কিছু লোক কাকের পিছনে দৌড়াচ্ছে।

তিনি আশ্বস্ত করে এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইন এর ফলেএদেশে জন্ম নেওয়া ভারতীয় বা কোন মুসলিম নাগরিকদের কোনও অসুবিধা হবে না। মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর বিষয়ে মিথ্যে প্রচার চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *