নয়া কৃষি বিলের কারণে অনেকের কালোটাকা আমদানি বন্ধ হবে বলেই এই বিরোধিতা: কড়া জবাব মোদীর

আমাদের ভারত,২৯ সেপ্টেম্বর: যারা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন তাঁরা আসলে কৃষকদের অপমান করছেন। কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝে এভাবেই তাদের সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছে পাঞ্জাব যুব কংগ্রেস। সেখানে একটি ট্রাক্টর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মোদী দাবি করেছেন, সংসদে যে বিলগুলো পাশ হয়েছে তাতে, কৃষক-শ্রমিক তরুণ ও নারীদের লাভ হবে।

এদিন ভার্চুয়ালি উত্তরাখণ্ডের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন,”সংসদের সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনের কৃষি, কলকারখানা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কয়েকটি বিল পাস হয়েছে। তাতে প্রান্তিক কৃষক, শ্রমিক, তরুণ, নারী সকলেই উপকৃত হবেন। আর এখন সারা দেশ দেখছে কিছু লোক শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য কিভাবে বিরোধিতা করছে। “ট্রাক্টর পোড়ানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষকরা যে যন্ত্রগুলিকে পুজো করেন সেগুলোকে পুড়িয়ে বিরোধীরা তাদের অপমান করছেন।”

মোদীর অভিযোগ, কৃষি আইনের বিরোধীরা শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “চাষিরা অবশ্যই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা উৎপাদিত শস্য ইচ্ছেমতো যে কোনো জায়গায় বিক্রি করতে পারবেন। এতে অনেকের কালো টাকার আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।”

কৃষি বিল নিয়ে সংসদে দুই কক্ষের তীব্র বিরোধিতা হলেও বিল পাশ হয়ে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ ভোটাভুটির রাস্তায় না গিয়ে সরকার গায়ের জোরে বিল পাশ করিয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে বিলে সই না করার আবেদন জানানো হয়। তাদের দাবি ছিল, ওই বিল পুনর্বিবেচনার জন্য ফের সংসদে আনা হোক। কিন্তু রবিবার সেই বিল সই করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

কেন্দ্রের দাবি, একুশ শতকে কৃষি ক্ষেত্রে অনেক বদল আসছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদনেও ইতিবাচক বদল আসবে।
কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, এর ফলে কৃষকদের অবস্থা খারাপ হবে। তাদের অভিযোগ, বিজেপির লক্ষ্য দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে কর্পোরেট পুঁজির হাতে বেচে দেওয়া। আর তার জন্যই এই বিল পাশ করানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *