আমাদের ভারত,৯ জানুয়ারি: অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দেশের সাধারণ বাজেট পেশ করবেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে এগারোটা নাগাদ নীতি আয়োগের অফিসে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। এই বৈঠকে যোগ দেন অর্থমন্ত্রী দেশের সেরা ৪০ জন অর্থনীতিবীদ, বিশেষজ্ঞ ও নীতি আয়োগের আধিকারিকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা এবং আগামী দিনের তার রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈঠক বলে জানা গেছে।
আগের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে তার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে দেশের জিডিপি যেহারে বৃদ্ধি হওয়া দরকার তা এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। উল্টে জিডিপি ক্রমশ নিম্নমুখী।
একাধিকবার চলতি অর্থবছরে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা হার কমানো হয়েছে। এখন জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। কিন্তু এই ৫ শতাংশেও জিডিপি পৌঁছাবে কিনা তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন দেশের অর্থনীতির শুধুই পরিকাঠামো উৎপাদন এবং বিনিয়োগের উপর নির্ভর করছে না। বিশ্ববাজারের চরম মন্দার প্রভাব পড়ছে ভারতের অর্থনীতিতে। ইরান ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধের আবহ তৈরী হতেই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে তেলের দামে। তেল ও সোনার দাম প্রতিদিন বাড়ছে চড়চড়িয়ে।
ফলে ভারতকে অনেক বেশি খরচ করেই এই দুটি পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপি ছিল ৬.৮ শতাংশ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জিডিপির এসে দাঁড়ায় ৪.৫ শতাংশে। যা গত ৬ বছরে সর্বনিম্ন।একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব। নজিরবিহীনভাবে কমেছে গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। নগদ সংকটে ভুগছে ব্যাঙ্কগুলি। উৎপাদন থমকে গেছে গাড়িশিল্পে। রাজকোষের ঘাটতি মোট জিডিপির ৩.৮ শতাংশ। কর্পোরেট কর কমিয়ে দেওয়ায় আয় কমেছে সরকারের। আর দেশের এই অর্থনৈতিক অবস্থাতেই পবাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মালা সিথারামান। তাই এখন দেখার এই বাজেট কতটা ভারতের অর্থনীতিকছ কোন দিশায় নিয়ে যায়।