মোদী-মমতা সেটিং! “অপেক্ষা করুন বুঝবেন, কী ভয়ঙ্কর সেটিং হয়েছে,” পাল্টা দিলেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ৮ আগস্ট: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের পর দিল্লি গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর তাদের এই বৈঠককে সেটিং বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম এবং কংগ্রেস। চুঁচুড়ার দলের এক প্রতিবাদী সভা থেকে এই সেটিং তত্ত্বের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন বুঝবেন কেমন ভয়ঙ্কর সেটিং হয়েছে।

চুঁচুড়ার সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেন,”বিরোধীরা সেটিং তত্ত্ব
চালাচ্ছে, আমি বলছি ১৫ দিন অপেক্ষা করুন কী ভয়ঙ্কর সেটিং হয়েছে সেটা ১৫ দিন পর দেখতে পাবেন।” তিনি বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হাজার কোটি টাকার লিস্ট বানিয়ে নিয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে সময় দিয়েছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেও দেখা করেন, যে পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে একাধিক আরএসএস, বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোতে একজন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁকে সময় দিতে বাধ্য প্রধানমন্ত্রী।”

সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, “আসল সেটিংস তো বিরোধীদের সঙ্গে। কারণ যেদিন ইডি সোনিয়া গান্ধী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে গেল সেদিন সীতারাম ইয়েচুরি চিৎকার করে বলতে থাকলেন ইডি’র অপব্যবহার করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সেটিং হতে পারে না কারণ। ২০০জন কর্মীর বলিদানের হিসেব আমরা নেব। আর যতক্ষণ না সেই হিসেবে আমরা নিতে পাচ্ছি ততদিন আমাদের লড়াই চলবে।”

চুঁচুড়ার দলীয় কর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে, এই সভায় বক্তব্য রাখার সময় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অসিত চোর, তপন চোর, তৃণমূলের সবাই চোর। চুরি করুন অসুবিধা নেই। হিসেবে যখন বেশি হয়ে যাবে তখন ইডি চলে আসবে বাড়িতে। চিন্তা নেই আমরা পাঠিয়ে দেবো। অনুব্রত মণ্ডলকে আবার ডেকেছে। যাব না বলছে। যেতে তো তোমাকে হবেই। আমি কথা দিচ্ছি এমন আতিথিয়তা করবে ইডি তোমাদের ফিরতে ইচ্ছে করবে না। সবে তো একজন ভেতরে গেছে আরো লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।”

সুকান্ত মজুমদার বলেন, দুর্নীতির সাথে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। তিনি বলেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করব। যদি লোকসভা চলে, তাহলে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। সব বৃত্তান্ত জানিয়ে বলবো। যাতে তার মাথাতেই নামগুলো ঢুকে যায়। আর তিনি যখন চাবি ঘোরাবেন তখন দেখবেন একটার পর একটা অপারেশন শুরু হয়ে যাবে। চিন্তা নেই, সময় এসেছে চোরেদের জেলে ঢোকানোর।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *