আমাদের ভারত, ৮ ফেব্রুয়ারি:আজ সংসদে দাঁড়িয়ে এফবডিআইয়ের এক নতুন ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লি কৃষক আন্দোলন নিয়ে মার্কিন পপ তারকা রিহানা, পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিদেশি সেলিব্রিটি মুখ খুলেছে। এই ঘটনাকে দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
কৃষক আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সমর্থনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে নরেন্দ্র মোদী বলেন, বিদেশি ধ্বংসাত্মক মতাদর্শ সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে তিনি কৃষক নেতাদের আবারো আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ শিখদের নিয়ে গর্বিত। তাঁরা দেশের জন্য সবকিছুই করেছেন। কিন্তু এক ধরনের লোক সম্পর্ক সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা হল আন্দোলনজীবী। রাজ্যসভায় কৃষি আইনগুলিকে আবারও এক জোরালোভাবেই সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন কংগ্রেসও একসময় কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছিল। কিন্তু এখন তারা পাল্টি খেয়েছে। একথা প্রমাণ করার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর বক্তব্য উদ্ধৃত করেন মোদী। কৃষকদের আন্দোলন শেষ করে সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায় আমরা আলোচনার জন্য তৈরি। আমি আপনাদের এখানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
অন্যদিকে কৃষকদের আশঙ্কা নতুন কৃষি আইন কার্যকর হলে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া যাবে না। কিন্তু মোদী আজ বলেন এমএসপি থা এমএসপি থে, এম এস পি রহেগা। কেউ যেন ভুল খবর না রটায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে পিছিয়ে গেলে চলবে না। কৃষিতে সংস্কার করে দেখতে হবে কি ফল হয়। মোদীর বক্তব্য, বিরোধীরা কৃষক আন্দোলন নিয়ে অনেক কথাই বলছেন। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষযয়ে তাঁরা চুপ করে আছেন। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন ১৯৭১ সালের পরে প্রান্তিক চাষী সংখ্যা ৫১ শতাংশ থেকে ৬৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। তার কথায় ৮৬% চাষির জমির পরিমাণ ২ হেক্টর এর কম। তারমানে ১২ কোটি চাষী প্রান্তিক অবস্থানে আছেন। এই চাষীদের প্রতি দেশের কোনো দায়িত্ব নেই? কেন্দ্রীয় সরকার প্রান্তিক চাষীদের জন্য কি কি প্রকল্প নিয়েছে তাও তুলে ধরেন মোদী। তিনি বলেন, প্রত্যেক সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলেছে। কিন্তু এখন তারা অন্য অবস্থান নিচ্ছে। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সরকারের সমালোচনা করছেন করুন, সেইসঙ্গে চাষীদের বুঝিয়ে বলুন কৃষিক্ষেত্রে কী কী সংস্কার করলে তাদের ভালো হবে।

