শিশুমন বিকাশে কবিগুরুর ভাবনার উল্লেখ করে দেশে খেলনা উৎপাদনে আত্মনির্ভর হবার ডাক মোদীর

আমাদের ভারত, ৩০ আগস্ট: লক্ষ্য একটাই আত্মনির্ভরশীল ভারত গঠন। তাই এবার খেলনা তৈরিতেও ভারতকে আত্মনির্ভর হবার ডাক দিলেন মোদী। খেলনা শিশুদের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই খুব তাড়াতাড়ি ভারতে খেলনা হাব বলেও রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি আগামী উৎসবের মরশুমে করোনা মোকাবিলায় “দো গজ কি দুরি,সাথ মে মাস্ক হে জরুরী” কথাও মনে করিয়েছেন দেশবাসীকে। একই সঙ্গে আগামী মাসে নিউট্রিশন মান্থ হিসেবে পালন করার কথা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথায়, সারা বিশ্বের নিরিখে ভারতে খুবই কম খেলনার উৎপাদন হয়। গোটা বিশ্বের ৭ লাখ কোটি টাকার খেলা উৎপাদন হয়। আর তাতে ভারতের অংশ ভীষণ কম। এটা ভারতকে বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শিশুদের জন্য খেলনার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন কবিগুরু কবেই বলে গেছেন,
“সেরা খেলনা আসলে অসম্পূর্ণ। বাচ্চারা খেলতে খেলতে নিজেরাই তা সম্পূর্ণ করবে। কবিগুরু আমাদের বলে গিয়েছেন খেলনা এমন হবে যা বাচ্চাদের সৃজনশীলতার ওপর জোর দেবে। দেশে খুব তাড়াতাড়ি খেলনা হাব তৈরি হবে। ”

খেলনা উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি দেশের বিভিন্ন স্টার্টআপ সংস্থাকেও খেলনা উৎপাদনের মাধ্যমে “ভোকাল ফর লোকাল” হওয়ার ডাক দেন। তিনি কম্পিউটার গেমের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এখন কম্পিউটার গেম খুব জনপ্রিয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই খেলেন এটি। কিন্তু এইসব খেলাগুলি পশ্চিমী ভাবনায় তৈরি। আমাদের ভারতীয় কম্পিউটার গেম বানাতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। তিনি বলেন, ভারতীয় অ্যাপ কু এবং চিঙ্গারি ইদানিং খুব জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি বলেন ভারতের মতো করেই ভারতে খেলনা তৈরি করতে হবে।

মোদী বলেন খেলনা তৈরি শিল্পে ভারতবর্ষকে আত্মনির্ভর হতে হবে। খেলা যে শুধু বিনোদনের শর্ত পূরণ করা এমনটা নয়, শিশুমনে সৃজনশীলতার প্রসার ঘটাতেও অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে খেলনার।

তবে শুধু খেলনা বা খেলার কথা বলেই তিনি থেমে থাকেননি। শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দরকার বলেও তার বক্তব্য উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান সেপ্টেম্বর মাস নিউট্রেশন মান্থ হিসেবে পালন করা দরকার। তিনি বলেন শৈশবের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।

মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটা উৎসবের সময়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সব কিছু বদলে দিয়েছে। তবে মানুষ অনেক বেশি সতর্ক হয়েছে। এটা যথেষ্ট অনুপ্রেরণাদায়ক। তিনি মনে করিয়ে দেন দো গজ কি দুরি, মাস্ক হে জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *