আমাদের ভারত, ২ আগস্ট: ভারতের অর্থনীতিকে মৃত অর্থনীতি বলেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য বারবার ভারতকে চোখ রাঙিয়েছে ট্রাম্প। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। ফলে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে বলেছিলেন, রাশিয়া এবং ভারতের ব্যাপারে ভাবতেই চান না তিনি। মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যেতে পারে দুই দেশ। এবার একরকম ট্রাম্পের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করলেন, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত।
ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতাবস্থার কথা তুলে ধরে মোদী উল্লেখ করেন যে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। দেশের অর্থনীতির উন্নতির স্বার্থে স্বদেশী জিনিসের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন তিনি। অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সরকার দেশের সব থেকে ভালো করার স্বার্থে যা কিছু প্রয়োজনীয় সব করেছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
বেনারসের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সব দেশ তাদের নিজের স্বার্থ রক্ষায় মন দিয়েছে। এদিকে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে এবং সেই কারণে ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
মোদী বলেন, “আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যারা দেশের জন্য সবথেকে ভালোটা চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে দেখতে চান তা সে যে কোনো রাজনৈতিক দলই হোক না কেন তাদের উচিত মত পার্থক্য ভুলে গিয়ে স্বদেশী পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা। আমরা কেবল সেই জিনিসগুলি কিনবো যা ভারতীয়দের তৈরি। আমাদের স্থানীয়দের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে।”
আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পন্যের উপর শুল্কের হার নিয়ে কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল। কিন্তু বুধবার হঠাৎ ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ও পেনাল্টি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ভারতের উপর এই শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেখানে ভারত ও রাশিয়া সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ভারত ও রাশিয়া কী করবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে একসঙ্গে ডুবে যেতে পারে ওরা। ভারতের সঙ্গে যত সামান্য ব্যবসা-বাণিজ্য করেছি আমরা ওদের শুল্ক খুব বেশি, পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। একইভাবে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যেও ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। সেটাই বজায় থাকবে।