আমাদের ভারত, ৩ সেপ্টেম্বর: করোনা মোকাবিলায় মার্চ মাসেই তৈরি হয়েছিল পিএম কেয়ার ফান্ড। আর এই তহবিল নিয়ে বিরোধীরা নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক আধিকারিক জানালেন ওই ফান্ড তৈরি হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী নিজে তাতে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দান করেছিলেন।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এটাই প্রথম নয়, প্রধানমন্ত্রীর আগেও বহু ক্ষেত্রে দান করেছেন। এখনো পর্যন্ত তার অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১০৩ কোটির বেশি। শিশুকন্যাদের উন্নতিতে, গঙ্গা নির্মল প্রকল্পে এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রয়োজনে বহুবার অনুদান করেছেন তিনি।
গতবছর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভ মেলায় সাফাই কর্মীদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী ২১ লাখ টাকা দান করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার তাকে সিওল পিস প্রাইজ দিয়েছিলেন। সেই পুরস্কারের ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা তিনি গঙ্গা নির্মাণ প্রকল্পের দান করেছিলেন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী উপহার পাওয়ার সামগ্রী নিলাম করে পাওয়া ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ২০১৫ সালে “নমামি গঙ্গে” মিশনে দান করেন তিনি।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন তার নিজের জমানো টাকা থেকে রাজ্য সরকারের কর্মীদের শিশুকন্যাদের শিক্ষার জন্যদান করেছিলেন ২১ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা উপহার পেয়েছিলেন সেগুলি নিলাম করে পাওয়া ৮৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা “কন্যা কলাবনি” ফান্ডে দান করেছেন তিনি।
বুধবার জানা যায় গত ২৭ শে মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত পিএম কেয়ার ফান্ডে জমা পড়েছে ৩০৭৬ কোটি টাকা। সরকারি একটি অডিট রিপোর্ট থেকে একথা জানা গেছে। রিপোর্টে দেখা গেছে তাতে দেশের মধ্যে থেকে অনুদানকারীরা দিয়েছেন ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। বিদেশ থেকে অনুদান এসেছে ৩৯ লক্ষ্য ৬৭ হাজার টাকা। যারা এই তহবিলে টাকা দিয়েছেন তাদের পরিচয় জানায়নি সরকার। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম প্রশ্ন তুলেছেন, যে দয়ালু ব্যক্তিরা দান করেছেন তাদের নাম প্রকাশ কেন করা হচ্ছে না? যেকোনো এনজিওকে কেউ যদি নির্দিষ্ট অংকের বেশি টাকা দেয় তাহলে তার নাম প্রকাশ করতে হয়, তাহলে পিএম কেয়ারে দাতাদের নাম জানাতে বলা হবে না কেন? তিনি আরোও বলেন, যারা অনুদান পাচ্ছে তাদের নাম জানা যাচ্ছে, যে সংস্থায় দান করা হচ্ছে তার ট্রাস্টিদের নাম জানা যাচ্ছে,কিন্তু যারা দান করছেন তাদের নাম জানানো হচ্ছে না কেন? এরপরই বৃহস্পতিবার জানানো হয় দাতাদের তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও।

