আমাদের ভারত, ১১ জানুয়ারি:আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। তার আগে তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম পর্যায়ে সামনের সারিতে থাকা তিন কোটি করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। এই টিকা দেওয়ার খরচ কেন্দ্র সরকার বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার বৈঠকের পর মোদী জানান, মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাক্সিন ও টিকাকরন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রাজ্য স্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। রাজ্যগুলির তরফে পরামর্শ এসেছে। করোনা সংকটকালে একজোট হয়ে কাজ করেছি সবাই। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেক কম। কয়েক মাস আগেও মানুষের মনে যে আশঙ্কা ছিল তা এখন আর নেই। তবে পরিস্থিতি ঠিক রাখতে কোনরকম ঢিলেমির অবকাশ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ শুরু হচ্ছে মেড ইন ইন্ডিয়া দুটি ভ্যাকসিন অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা। আরো চারটি ভ্যাক্সিনের কাজ চলছে। টিকাকরণ অভিযানে অগ্রাধিকার পাবেন,স্বাস্থ্যকর্মীরা। এছাড়াও সাফাই কর্মী,হোম গার্ড, পুলিশ, সেনাকে প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে৩ কোটি নাগরিক ভ্যাক্সিন পাবেন। সেই খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
দ্বিতীয় পর্যায়ের পঞ্চাশোর্ধ ও পঞ্চাশের নিচে শারীরিক সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে। মোদী বলেন দেশের সব প্রায় জেলাতেই টিকার ড্রাই রান হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় বুথ রণনীতিকে লাগানো হবে। কোউইন অ্যাপে আধার কার্ডের মাধ্যমে নথিভূক্ত থাকবে যাবতীয় তথ্য। টিকার পর একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজের পর চুড়ান্ত শংসাপত্র দেওয়া হবে।
মোদী দুনিয়ার অন্যান্য দেশ আমাদের অনুসরণ করতে চলেছে। সেই কারণেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ভারতে ৩০ কোটি নাগরিককে টিকা দেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার পর কোনরকম সমস্যা তৈরি হলে তার জন্যেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

