আমাদের ভারত, ১৭ জুলাই:রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে আজ ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি ভারতের একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে “সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস” ভারত সরকারের এই স্লোগানের মর্মার্থ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারত শুধু নিজের নয় সকলকে নিয়ে সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বাসী। আর সেই কারণেই ভারতের উন্নয়নের গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। তাই চাইলে অন্য দেশ ভারতকে দেখে শিখতে পারে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের গঠন। প্রথম ৫০ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের মধ্যে ছিল ভারতও। তবে সময়ের সাথে পরিস্থিতিতে বদলেছে। আজ ১৯৩টি দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রথম থেকেই রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় সমর্থন ও কার্যকর ভূমিকা নিয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের উন্নয়ন মূলক কাজ করার ক্ষেত্রে ভারত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মোদী বলেন, “আজ আমরা অন্য উন্নয়নশীল দেশকেও সাহায্য করছি। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য সবকা সাথ, সবকা বিকাশ,সবকা বিশ্বাস। যার অর্থ বিশ্বাসকে সঙ্গী করে সবার উন্নয়ন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় কিংবা ইবোলা সংকটের মত প্রাকৃতিক কিংবা মানবসৃষ্ট সংকট, সব কিছুর সঙ্গেই ভারত মোকাবিলা করে উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে “আমরা ১৫০টিরও বেশি দেশকে চিকিৎসা সহ অন্যান্য সাহায্য করেছি।” তিনি বলেন, “করোনায় মৃত্যুর হার ভারতের সবচেয়ে কম। ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারে নীচু স্তর পর্যন্ত থাকায় মৃত্যুর হার কম। করোনা পরবর্তীতে দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছি আমরা”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাত্মা গান্ধী ১৫০ তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের ৬০০০০০০ হাজারেরও বেশি গ্রামে স্বচ্ছতা অভিযান চলেছে। ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা পূর্ণ হবার আগেই আমরা ‘হাউসিং ফর অল’ প্রকল্পে প্রত্যেক ভারতবাসীর মাথার উপর ছাদ নিশ্চিত করব।গরিবদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছি।”
মোদী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে সমস্ত দেশের পরীক্ষা নিচ্ছে। ভারতে সরকার এবং নাগরিকদের প্রচেষ্টায় এই মহামারীর বিরুদ্ধে করা লড়াইকে একটি গণআন্দোলন তৈরি করার চেষ্টা করেছি আমরা।” তিনি সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে করোনা মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগে ফান্ড তৈরির আহ্বান জানান।
তিনি গর্বের সঙ্গেই বলেন, অন্য উন্নয়নশীল দেশ ভারতের উন্নয়নের কার্যক্রম এবং সফলতা দেখে শিক্ষা নিতে পারে। আমরা ২০২৫ এর মধ্যে টিবিকে একেবারে মুছে ফেলার লক্ষ্য স্থির করেছি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপুঞ্জের কোনও সভায় বক্তব্য রাখলেন। ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য রূপে ২০২১-২০২২ কার্যকালে নির্বাচিত হয়েছে।