স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করছেন বিধায়ক মিল্টন রশিদ

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৪ এপ্রিল: তিনি চিকিৎসক নন। নন স্বাস্থ্যকর্মীও। পেশায় আইনজীবী। নেশায় সমাজসেবী। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় হাতে ডিজিটাল থার্মোমিটার নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন গ্রামে গ্রামে। শরীরের তাপমাত্রা মেপে দিচ্ছেন পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ। তিনি হলেন বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক কংগ্রেসের মিল্টন রশিদ।

করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রামগঞ্জের বহু মানুষ হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন। একটু জ্বর হলেই নিজেকে গৃহবন্দি করছেন। ভয় একটাই যদি কোয়ারেন্টাইনে রেখে দেয়। এই ভয় দূর করতে মাঠে নেমে পড়েন বিধায়ক মিল্টন রশিদ। হাতে ডিজিটাল থার্মোমিটার নিয়ে গ্রামের পর গ্রাম চষছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কপালে থার্মোমিটার ঠেকিয়ে শরীরের তাপমাত্রা জানিয়ে দিচ্ছেন। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলেই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু নিজের বিধানসভা এলাকা নয়, রামপুরহাট ষ্টেশনের ভবঘুরে থেকে পথ চলতি মানুষ দেখলেই দূরত্ব বজায় রেখে কপালে তাক করছেন থার্মোমিটার।

মিল্টনবাবু বলেন, “গ্রামগঞ্জের বহু মানুষ এই সময় হাসপাতালে না গিয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখছেন। কারণ হাসপাতালে জ্বর দেখেলেই ভর্তি করে নিচ্ছে। তাই আমি গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রত্যেকের তাপমাত্রা মেপে দিচ্ছি। তাতে কিছু মানুষের আতঙ্ক দূর হচ্ছে। কয়েকজনের চিকিৎসাও করানো হয়েছে। প্রতিদিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের তাপমাত্রা মেপে দিচ্ছি। জটলা না পাকিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। আমি এভাবেই এই বিপদে মানুষের পাশে থাকতে চাই”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *