Road, Shaltora, শালতোড়া রাস্তার বেহাল দশা, চারা লাগিয়ে ও মাছের চারা ফেলে প্রতিবাদ বিধায়িকার

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৭ জুলাই: এলাকার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের রাস্তাই বেহাল। এই বেহাল রাস্তার কাদায় ধানের চারা লাগিয়ে ও মাছের পোনা ছেড়ে প্রতিবাদে সরব হলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি ও গ্রামবাসীরা। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ায় শালতোড়ায়।

শালতোড়া বিধানসভার গঙ্গাজলঘাঁটি থানার বেলডাঙ্গা থেকে চুঁড়ুরি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিমি রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সারা রাস্তাজুড়ে ছোট বড় গর্ত। তার ওপর পিচ উঠে পাথর আলগা হয়ে যাওয়ায় রাস্তার ছাল চামড়া উঠে আরও বিপদজনক হয়ে পড়েছে। এলাকার হরি বাউরি, বারিদ রায়দের অভিযোগ, শালতোড়ায় শাসক হেরেছে, সে কারণেই রাস্তার এই করুন দশা। এই পাকা রাস্তাটি বৃষ্টির পর রাস্তা বলে বোঝাই যাচ্ছে না। কাদা মাঠে পরিণত হয়েছে। তাই বিধায়ক কাদা মাঠ হয়ে যাওয়া রাস্তায় নিজের হাতে ধানের চারা রোপন করে মাছের চারা ছাড়লেন। চন্দনা বাউরির অভিযোগ, ২০১৮- ১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার অধীনে রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১ বছরের মধ্যে রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বেহাল দশা। বারবার অভিযোগ জানানোর পর অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রশাসনের লোকজন রাস্তা পুর্ননির্মানের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সব আবেদন নিবেদন বৃথা হয়েছে। রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না। টোটো, মোটরবাইক এমনকি সাইকেল পর্যন্ত চলতে পারছে না। পায়ে হাঁটারও অযোগ্য হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে লছমনপুর স্কুল থেকে চুঁড়ুরি মোড় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা।

চন্দনা বাউরি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজ্যে উন্নয়নে জোয়ার এসেছে বলে প্রচার করে বেড়ান, বাস্তবে এই তার নমুনা। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় তৈরি রাস্তাটি রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এই রাস্তায় পাথর খাদান ও পাথর ভাঙ্গার ক্রাশার রয়েছে। ভারি গাড়ির যাতায়াতে রাস্তাটি বেহাল হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী ভাঁওতা দেন। এটাই তার প্রমাণ। তাই রাস্তায় ধানের চারা লাগালাম ও মাছের চারা ফেললাম। সেগুলি বড় হলে সরকার বিক্রি করে রাস্তা মেরামত করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *