আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ সেপ্টেম্বর: উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া নন্দননগর বটতলা এলাকায় বিজেপির এক সক্রিয় কর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা লোহার রড, বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। কিন্তু বাড়ির ভেতরে ঢুকতে না পেরে গেট ভাঙ্গচুর করে এবং ইটপাটকেল ছুড়ে জানলা ভেঙ্গে দেয়।
জানা গেছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম গোবিন্দ মন্ডল। মঙ্গলবার গভীর রাতে গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে লাঠি, বাঁশ, লোহার রড ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। তারা গোবিন্দবাবুর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলেও গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়ির গেট, জানালা ভাঙ্গচুর করে। ইঁট পাটকেল ছোঁড়ে বাড়ির ভেতরে। সেই সময় গোবিন্দ মন্ডল ঘরে ঘুমাচ্ছিল।

হঠাৎ বাড়িতে ইঁট পাটকেল পড়ার শব্দ শুনে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে। এদিকে গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে হামলার ঘটনার আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। গোবিন্দ মন্ডল ফোন করে বেলঘরিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ আসার আগেই হামলাকারী দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বেলঘরিয়া থানায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোবিন্দ মন্ডল। তাঁর অভিযোগ, “রবিবার আমি এই অঞ্চলের ২০/২৫ জনকে নিয়ে বাইক মিছিল করে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দুর্গানগরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ছিলাম, সেই আক্রোশ বশত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমি চাই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করুক।”

এদিকে গোবিন্দ মণ্ডলের বাড়িতে হামলার ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বেলঘরিয়া নন্দন নগর বটতলা এলাকার তৃণমূল নেতা কানু দাস বলেন, “এখন বিজেপির যা ঘটনা ঘটে তাতেই তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়। ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওদের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।” বেলঘরিয়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

