Suvendu, BJP, কালী প্রতিমার মাথা কাটল দুষ্কৃতীরা, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভাঙ্গা প্রতিমা প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ, সরব শুভেন্দু

আমাদের ভারত, ২২ অক্টোবর: মা কালীর প্রতিমা ভাঙ্গার অভিযোগ উঠল কাকদ্বীপে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ ভাঙ্গা প্রতিমাটিকে প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ভিডিওটা দেখে কেউ বাংলাদেশ বলে ভুল করবেন না। এটা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা। আমি বারবার বলেছি পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। হিন্দুরা এখনই না জাগলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে আগামী দিনে।

তিনি আরো লিখেছেন, “গতরাতে কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পূজা মণ্ডপ থেকে মা কালীর প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে চলে গেছে জেহাদিরা। রাজ্য প্রশাসন যথারীতি তৎপর হয়েছে ঘটনা ধামাচাপা দিতে। পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও, গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রতিবাদে মন্দিরের দরজা খুলে দেয় পুলিশ, ও ছবি সংগ্রহ করতে দিতেও বাধ্য হয়। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি মমতার নির্লজ্জ প্রশাসন।

তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা। মমতার অপশাসনে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেব- দেবীদের প্রতিমা ভাঙ্গচুর, মণ্ডপ ভাঙ্গচুর, হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করা বা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আজ পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয়নি। যে কারণে এই ধরনের জিহাদি কার্যকলাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।হিন্দুরা এখনই জেগে না উঠলে, সংঘবদ্ধ না হলে সামনে সমূহ বিপদ।

এরপর মা কালীর প্রতিমা প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ায় পুলিশের নিন্দা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মা কালী’কে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেল। ছিঃ ছিঃ এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই। রাজ্য প্রশাসন যথারীতি তৎপরতার সঙ্গে ঘটনা চাপা দিতে সব রকম প্রয়াস করছে। পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রতিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে বাধ্য হয় পুলিশ। দুষ্কৃতিদের ধরার চেষ্টা না করে পুলিশ গ্রামবাসীদের দমন করার অপচেষ্টা করায় হিন্দুরা জেগে ওঠে ও সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করায় পুলিশের ওপর মহলে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। কয়লা মামলায় পাঁচবার ইডির তলব পাওয়া নির্লজ্জ বেহায়া সুন্দরবন পুলিশ জেলা সুপার কোটেশ্বর রাও কয়েকশো পুলিশ নিয়ে মা কালীর ভাঙ্গা মূর্তিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে পালালো। কাকদ্বীপে হিন্দুদের সঙ্গবদ্ধ লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *