আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৫ এপ্রিল: রেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে তপনে দোকানে দোকানে হানা প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার। নিজের বিধানসভার একাধিক রেশন দোকানে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বন্টন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে সমস্যা জানার চেষ্টা প্রতিমন্ত্রীর। রবিবার তপনের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়ই চ্যাঁচড়া এলাকার এম.আর নং ৪ দোকানে আচমকা হানা দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য রাজ্যের ঘোষণার পরেই ১ এপ্রিল থেকে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিলি শুরু হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের রেশন দোকানগুলিতেও। যার পরেই সঠিক পরিমাণে সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না, এমনটা অভিযোগ তুলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের রেশন দোকানগুলিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রাহকরা। লকডাউন উপেক্ষা করে রেশন দোকান গুলিতে সাধারণ মানুষের ভিড় ও বিক্ষোভে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে খোদ প্রশাসনও। এমন সব বিষয় সামনে আসতেই এদিন সাতসকালেই রেশন দোকানগুলি পরিদর্শনে বেরোন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। ডিলারদের পাশাপাশি কথা বলেন রেশন নিতে আসা গ্রাহকদের সাথেও।
রাজকুমার ঠাকুর নামে এক গ্রাহক জানিয়েছেন, তিনি রেশন সংগ্রহ করেছেন। তবে আটা যে ১৫ দিনের দেওয়া হচ্ছে তার কারণ মজুত কম রয়েছে। ১৫ দিন পর ফের আটা দেওয়া হবে তা রেশন দোকান থেকেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের।
রেশন ডিলার নিত্যানন্দ বসাক জানিয়েছেন, কার্ডের ধরন অনুযায়ী চাল, গম এক মাসের করে দেওয়া হচ্ছে। তবে আটার স্টক কম থাকায় প্রথমে ১৫ দিনের দেওয়া হচ্ছে পরে আরও ১৫ দিনের দেওয়া হবে তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। সেটা না বুঝতে পেরেই গ্রাহকরা বেশকিছু জায়গায় ঝামেলা করলেও তাদের রেশন দোকানে এসব হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা জানিয়েছেন, এদিন রেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে দোকানে দোকানে ঘুরে দেখেন তিনি। গ্রাহকদের পাশাপাশি রেশন ডিলারদের সাথেও কথা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই বিপুল পরিমাণ স্টক মজুত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি রেশনের আটা বেশি সময় মজুত করাও কঠিন সেই কারণেই প্রথমে ১৫ দিনের দেওয়া হচ্ছে পরে আরও ১৫ দিনের দেওয়া হবে রেশন দোকান গুলি থেকে। যা না বুঝতে পেরেই কিছু মানুষ বেশকিছু জায়গায় ঝামেলা করেছে।