পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জুলাই: নদী ভাঙ্গনের সমস্যা ছিলই। কিন্তু টানা বর্ষার জেরে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় সেই প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে প্রবল সমস্যায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। আংশিক প্রভাব পড়েছে মেদিনীপুর শহরেও। এখনই পদক্ষেপ না করা হলে ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে একটা বড় এলাকা।
কাঁসাই নদীর ভাঙ্গন ক্রমশ গিলে ফেলতে চাইছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী, মণিদহ, চাঁদড়া ও ধেড়ুয়ার একের পর এক গ্রামকে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, অতীতে মণিদহ পঞ্চায়েতের ধনেশ্বরপুরের মতো বহু গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এখন ফের ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদীগর্ভ। দশদিন ধরে নদী একেবারে পাড় ছুঁইছুঁই। গত কয়েক দিন থেকে জলস্তর আরও বেড়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি। ফলে আতঙ্কে সকলে। অনেকেই নানান ফল-ফুলের বাগান সরিয়ে নিয়েছেন। গাছও কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছেন ঘরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য। এই মুহূর্তে মণিদহ, ফরিদচক-সহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পাড় ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় কুড়ি বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ধনেশ্বরপুর গ্রামে ২০-২৫টি বাড়ি ছিল। পুরো গ্রামটিই এখন নদীগর্ভে মিশে গিয়েছে। আর কোনও চিহ্ন নেই। ধীরে ধীরে একই অবস্থা হতে চলেছে দুর্গাচাটি, তেঁতুলিয়া, মণিদহ, রেড়াপাল, বেড়াপাল, গুড়গুড়িপাল, শালিকার মতো গ্রামগুলোরও। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে বৃহৎ উদ্যোগ নিয়ে নদীপাড় বাঁধানো না হলে আগামী দিনে ঘোর সঙ্কটের মধ্যে পড়বেন নদীপাড় সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এর জন্য নদীর চরিত্র বদলকে দায়ী করছেন। আজ এই এলাকাগুলি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আসেন সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ডাঃ মানষ রঞ্জন ভুঁইঞা, বিধায়ক সুজয় হাজারা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
মন্ত্রী ডাঃ মানষ রঞ্জন ভুঁইঞা বলেন যে, আমি আজ এলাকায় এসে দেখে গেলাম। নদীর ভাঙ্গন রোধে যা যা ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। অতি শীঘ্রই কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।