আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১৪ মে: ঝটিকা সফরে আলিপুরদুয়ারে এসে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আর একবার প্রশংসা করলেন মন্ত্রী গৌতম দেব। পরিদর্শন করলেন আলিপুরদুয়ার কোভিড হাসপাতাল। দেখলেন সদ্য প্রস্তুত ঝাঁ চকচকে নতুন সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন,”আলিপুরদুয়ার গ্রিন জোনে ছিল। আমাদের দৃঢ় সংকল্প আমরা আলিপুরদুয়ারকে গ্রিন জোনেই রাখবো।” তিনি আরও বলেন, আলিপুরদুয়ারে যেভাবে ১৬টি সিমান্ত পয়েন্টে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়েছে তার জন্য সকল কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বহিরাগতদের জন্য ইতিমধ্যেই ৪০টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হয়েছে। ৩৫০০ মানুষ সেখানে থাকবেন। প্রয়োজন হলে আরও কেন্দ্র গড়ে তুলবো আমরা। তপসীখাতা কোভিড হাসপাতাল, জেলায় করোনা ভাইরাস জনিত লালারসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার বিষয়টি নিয়েও প্রশংসা করেন মন্ত্রী।”
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দফতরের এদিন পর্যন্ত দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আলিপুরদুয়ারে কোনও করোনা রোগীর অস্তিত্ব নেই। বহিরাগত ধরা পড়েছিল ৪ জন। যার মধ্যে ১ একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছে। এদিন পর্যন্ত ১১৪১জনের নমুনা পরীক্ষার ফল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসেছে যার সবকটি ফল নেগেটিভ এসেছে। এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যাতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ছড়াও বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা, সরকারি বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মৃদুল গোস্বামী সহ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। রেশন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, বহিরাগত শ্রমিকদের জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সবকিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান গৌতম দেব। পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে তিনি এও বলেন, করোনার জেরে গোটা বিশ্বের পর্যটন ব্যবসার সামনে চ্যালেঞ্জ এসেছে। আমরাও তার বাইরে নই। আগামীতে পর্যটনকে কিভাবে চাঙ্গা করা যায় তা নিয়েও গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা চলছে। পর্যটন ব্যাবসার সাথে যুক্ত সকলের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিভাবে পুনরায় পর্যটন ব্যবসার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা যায় তার সবরকম ব্যবস্থা করবার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিৎ পর্যটন ব্যবসায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা।