আমাদের ভারত, ৯ অক্টোবর: মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা হানার পর ফিরহাদের উত্তেজিত, আবেগপ্রবণ সাংবাদিক সম্মেলনেও নেটনাগরিকদের ১৪ আনা সামাজিক মাধ্যমে মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই মত প্রকাশ করলেন।
রবিবার সিবিআই বিদায়ের পর বাড়ির দরজা থেকে মুখ গলিয়ে ফিরহাদের মেয়ে বলেন, ‘তল্লাশির নামে সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে আমাদের মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।’ এর পর মেয়েকে পাশে বসিয়ে ফিরহাদ বলেন, “আমি মানুষের সেবা করতে এসেছি আমি চোর? …….সুজনবাবু আপনি বলুন আমি চোর? বিকাশবাবু আপনি বলুন আমি চোর? দিলীপবাবু আপনি বলুন আমি চোর?”
এই ভাবে আক্রমণ শানান ফিরহাদ হাকিম। পোস্ট করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোমবার বেলা পৌনে দুটোয় লাইক, মন্তব্য, শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬ হাজার ৭০০, ২ হাজার ১০০ ও ৩৭৩। দেখেছেন ১ লক্ষ ৪২ হাজার।
মহুয়া চক্রবর্তী চ্যাটার্জি লিখেছেন, “স্যার, আপনি পৌর মন্ত্রী, দমদম পুরসভায় প্রমোটারদের সাথে মিলে কিভাবে দুর্নীতি হচ্ছে একটু দেখুন।” বারিন চৌধুরী লিখেছেন, “দারুন অভিনয় দক্ষতা।” জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ লিখেছেন, “পৌরনিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তৎকালীন পৌরমন্ত্রীর ওপর দায় আসে। আবেগঘন প্রেসমিট করে নিজের অপরাধকে মানুষের চোখ থেকে আড়াল করতে এই উদ্যোগ।”
পাপাই রায় লিখেছেন, “আপনার মুখে আবার আদর্শ কথা!” সুধা মণ্ডল লিখেছেন, “তৃণমূলের আদর্শবাদী”। শেখর তাঁতি লিখেছেন, “এরা সবাই সেবা করার জন্য এসেছে।” শিবপ্রসাদ আচার্য্য লিখেছেন, “সবাই বলবে ফিরহাদ চোর।” রঞ্জন ধর লিখেছেন, “ববিবাবু তাহলে স্যান্ডো গেঞ্জি পরে নারোদাতে কাকে টাকা নিতে দেখা গেছিলো? প্রশ্নের উত্তর এর অপেক্ষায় রইলাম।”
প্রসঙ্গত, রবিবার তল্লাশির খবর পেয়ে ফিরহাদের বাড়ির সামনে জড়ো হন অনুগামীরা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। গোটা প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ ফিরহাদের বাড়ি ছাড়েন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সঙ্গে নিয়ে যান প্রচুর নথি। তখন ফিরহাদের বাড়ির সামনে থিকথিক করছে ভিড়। ভিড় সরাতে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও চেতলা থানার পুলিশকে।