Sukanta, BJP, আক্রান্ত কর্মীকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী, সুকান্ত বললেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর ও জাহাঙ্গীর খানের মদতে বাংলাদেশের জেহাদিরা এটা করেছে

আমাদের ভারত, ১৯ জুন: আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিক্ষোভকারীরা তাঁর উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য এবং অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আক্রমণ পর্যন্ত চালান বলে অভিযোগ। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মায়ের সম্পর্কেও কু- কথা বলেছে তৃণমূল বিক্ষোভকারীরা বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এই সবকিছু বাংলাদেশ থেকে আসা জেহাদিরা করেছেন। সমস্ত ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতা।

বজবজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি আটকে চোর স্লোগান দেওয়া হয়। এমনকি তাঁকে লক্ষ্য করে জুতো পর্যন্ত দেখানো হয়। যদিও এই ঘটনায় একরকম প্রতিবাদী হয়ে উঠতে দেখা সুকান্ত মজুমদারকে। পাল্টায় তৃণমূলকে চোর বলে স্লোগান দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে চাই, এটাকে গণতন্ত্র বলে কি না? ওনাকে অনুরোধ করবো এই ভিডিওটা একবার দেখে নিতে। যেভাবে গণতন্ত্রকে আজ রাস্তার মধ্যে নগ্ন করে, যেভাবে তাকে ধর্ষণ করা হলো, এটাকে গণতন্ত্র বলে না।” তাঁর অভিযোগ, এই পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং জাহাঙ্গীর খান। এই কাজের জন্য জেহাদিদের নিয়ে আসা হয়েছে। এখানকার লোক নয়, বাংলাদেশের লোক রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এসে এসব করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে পাকিস্তান বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।

এই ঘটনায় কড়া ভাষায় নিন্দা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদারের ওপর এই হামলার ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা মন্ত্রী নন, উনি একজন সফল শিক্ষক। তাঁর দিকে জুতো ছোড়া মানে সমগ্র শিক্ষক সমাজের উপর জুতো ছোড়া। আমি এর নিন্দা করছি।

আজকের এই ঘটনায় সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আজ বজবজে ভারতীয় জনতা পার্টির আক্রান্ত কার্যকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় সমাজ বিরোধী দুষ্কৃতী বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়তে হয় আমাদের। রাস্তায় দাঁড়িয়ে অশ্রাব্য এবং অশালীন ভাষায় হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আক্রমণ, সবই ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পঙ্গু পুলিশ প্রশাসনের সামনেই। রাজনৈতিক প্রভুর নির্দেশকে মান্যতা দিতে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে কাপুরুষ রাজ্য পুলিশের বাহিনী। তৃণমূলের কাছে মেরুদন্ড বিক্রি করে দেওয়া পুলিশের এই চূড়ান্ত কাপুরুষোচিত আচরণকে আমরা ধিক্কার জানাই।”

তিনি আরো লিখেছেন, “ক্ষমতার দম্ভে মত্ত হয়ে তৃণমূলের এই চূড়ান্ত স্বৈরাচারিতার শাসনের জবাব আগামী নির্বাচনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝিয়ে দেবেন পশ্চিমবঙ্গের নির্যাতিত মানুষ। প্রশাসনের পূর্ণ মদতে অসামাজিক দুর্বৃত্তদের গুণ্ডাগিরির বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। পশ্চিমবঙ্গকে পাপমুক্ত করার এই সংকল্প পূরণ করবেন ভারতীয় জনতা পার্টির অকুতোভয় কার্যকর্তারাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *