জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ এপ্রিল: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি বেচে ৮ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন সমবায়ে। সমবায়ের গাফিলতির জন্য টাকা না পেয়ে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন চন্দ্রকোনার ধুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিনা পাল।
নিজের জমি বিক্রি করে ৮ লক্ষ টাকা সমবায়ে গচ্ছিত রেখেছিলেন তিনি।সমবায়ের গাফিলতির জন্য টাকা না পেয়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও মিলেনি সুরাহা। টাকা না পেয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন মিনা পাল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
কয়েক বছর আগে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের শ্রীনগর ঠাকুরহাটি সমবায় সমিতিতে একমাত্র ছেলে তুহিন পালের চিকিৎসার জন্য জমি বেচে ৮ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন ছেলের চিকিৎসার জন্য সমবায় সমিতি থেকে সময় মতো টাকা তুলতে পারবে। কিন্তু ২ বছর ধরে কোনো টাকা তুলতে না পারায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
তাদের দাবি, দ্রুত সমবায় কর্তৃপক্ষ তাদের টাকা ফেরত দিক। এই দাবি নিয়ে বার বার সমবায় দপ্তর থেকে জেলা প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন মিনা পাল ও তার পরিবারের লোকজন, কিন্ত মেলেনি সুরাহা। এরকম বহু গ্রাহক টাকা না পেয়ে কয়েকদিন আগে সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখান।