বিতর্কের মধ্যেই মাত্র ১জন সদস্যকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব নিলেন মিহির দত্ত

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১২ ডিসেম্বর: চরম বিতর্কের মাঝে শুনিবার আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি ঘনিষ্ঠ মিহির দত্ত। ২০১৮ সালে আলিপুরদুয়ার পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ হলেও এতদিন দায়িত্বে ছিলেন মহকুমা শাসক শ্রী রাজেশ।শনিবার দুপুরের পরে জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর উপস্থিতিতে নিজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মিহিরবাবু। তবে মিহিরবাবু সহ ৫ জন প্রশাসক কিমিটিতে থাকলেও এদিন মাত্র ১জনই উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা দলের বর্তমান টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় সহ পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলারদের সিংহভাগই।

উল্লেখ্য, নিজে কোনও দিন যেমন ছিলেন না কোনও জনপ্রতিনিধি তেমনই নেই পুর প্রশাসনের কাজের অভিজ্ঞতা। পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রাক্তন কাউন্সিলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের থেকে শুনতে হয়েছে নানা কটুক্তিও। এর মাঝেই শনিবার পুরসভার মিটিং হলে মহকুমা শাসক শ্রী রাজেশের থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেন মিহিরবাবু। পাঁচ সদস্যের যে নতুন পুর প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে তা থেকে ইতিমধ্যেই ৩জন সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যাইয়ের স্ত্রী রুমা চট্টোপাধ্যায়, বহ্নি সাহা এবং ব্যাবসায়ী রানা চক্রবর্তী।এদিন মাত্র ১জন সদস্য প্রদ্যুৎ আচার্য্যকে নিয়ে মিহিরবাবু প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্ব নেন। যদিও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হবার অন্যতম দাবিদার ছিলেন দীপ্তবাবু।স্বাভাবিকভাবেই দীপ্তবাবুকে সরিয়ে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে মিহিরবাবুকে বসানোয় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন দীপ্তবাবুর শিবিরের লোকজন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলারকে।

তবে এদিন দায়িত্বভার গ্রহণের পর মিহিরবাবু জানান, “আমাকে কটুক্তি শুনতে হয়েছে আমার নাকি ক্লাব চালানোর মতো অভিজ্ঞতাও নেই। কিন্তু পুরসভার প্রশাসন চালানোর মত ক্ষমতা আমার আছে কিনা সেটা আমি আমার কাজ দিয়েই প্রমাণ করব।” মাত্র ১জন সদস্যকে নিয়ে কিভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “৩জন সদস্য থাকলে বোর্ড শক্তিশালী হত। ভালো কাজ হত। কিন্তু তিনজন সদস্য না থাকলেও কোনও অসুবিধা হবে না। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রশ্ন নেই। আমার দায়িত্বভার গ্রহণ অনুষ্ঠানে সমস্ত বিদায়ী কাউন্সিলারদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল।” কাজের কথা বলতে গিয়ে জানান,“পুরসভার সলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট ও বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। দ্রুত ওই দুটি প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুরসভার অন্য নাগরিক পরিষেবাগুলির কাজে জোর দেওয়া হবে।

অন্যদিকে মৃদুল গোস্বামী জানান,“পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছে রাজ্য সরকার।এখানে দলের কোনও বিষয় নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *