পূর্ববঙ্গে হিন্দুদের স্মৃতি (৮৩) কবি কামিনী রায়ের শ্বশুর বাড়ি সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি

আমাদের ভারত, ৮ এপ্রিল: সিদ্ধকাঠি জমিদার বাড়ি বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি গ্রামে অবস্থিত। নলছিটি শহর থেকে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। নির্মাণ শুরু হয় ১৩৩২ বঙ্গাব্দে।

বাড়িটির নির্মাতা এবং স্বত্বাধিকারী ছিলেন ডাঃ চণ্ডীচরণ চক্রবর্তী। স্থানীয় অনেকের কাছে এটি রায়চৌধুরীর বাড়ি নামেও পরিচিত। সিদ্ধকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮৮২ সালে জমিদার জগৎ প্রসন্ন রায়চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন।

মূল ভবনটি এখন নেই। ঘাট বাঁধানো পুকুর কালের সাক্ষী হয়ে আছে। প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী ও নারীবাদী লেখিকা কবি কামিনী রায়ের শ্বশুর বাড়ি এটি। তিনি একসময় ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে লিখতেন। ১৮৯৪ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিলে কেদারনাথ রায়ের সাথে।

কেদারনাথ তাঁর কবিতায় মুগ্ধ হয়েই তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে স্বামী বিয়োগে কামিনী রায় ভাবলেশহীন হয়ে পড়েন। শোক ও দুঃখ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে, যা তার কবিতায় প্রকাশ পায়। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সংস্কৃত সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত হন। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কামিনী রায়কে ‘জগত্তারিণী পদক’ প্রদান করে সম্মানিত করেন।

তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩২-৩৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়। “করিতে পারি না কাজ/ সদা ভয় সদা লাজ সংসয়ে সংকল্প সদা টলে/ পাছে লোকে কিছু বলে।“ আজ আমরা ভুলে গিয়েছি, কবিতার বিখ্যাত এই পংক্তিগুলো কামিনী রায়ের লেখা।

সূত্র— উইকিপিডিয়া এবং মহম্মদ কাইজারের পোস্ট,
পুরনো কলকাতার গল্প ফেসবুক গ্রুপ। সঙ্কলন— অশোক সেনগুপ্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *