আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল: বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় ফিরে বাবাকে তাঁর স্কুলের ছবি দেখালে শিশুর সারল্যে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি….
আমার পূর্বপুরুষের বাস ছিল অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জের একটি ছোট্ট গ্রাম বনগ্রামে… বাবা দেশভাগের কিছু আগে পশ্চিমবাংলায় চাকরি করতে আসেন.. কিন্তু এর মধ্যেই হয়ে যায় দেশভাগ…। ১৯৪৯ সালের পর বাবা আর কোনওদিন তাঁর জন্মস্থানে যাননি…। এরমধ্যে দিয়ে অনেক কিছু ঘটে যায় …। জন্ম নেয় এক নতুন দেশ বাংলাদেশ…। তবু বাবা একরাশ অভিমান নিয়ে আর দেশে কখনো যাননি..।
আমি অফিসের কাজ নিয়ে ২০০২ সালে বাংলাদেশে গিয়ে খুঁজে বার করেছিলাম আমার পূর্বপুরুষের বাড়ি..। খুঁজে বার করেছিলাম আমার বাবা যেই স্কুলে পড়তেন সেই স্কুলটি ( বনগ্রাম আনন্দকিশোর বিদ্যালয় ) …। ফিরে এসে বাবাকে তাঁর স্কুলের ছবি দেখালে শিশুর সারল্যে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি..
ফাল্গুনী দত্ত রায়, নিউ টাউন, কলকাতা সূত্র— ‘বঙ্গভিটা’ ফেসবুক গ্রুপ
সঙ্কলন— অশোক সেনগুপ্ত।