আমাদের ভারত, ১২ মার্চ: শুধু একবারে জন্য বসু পরিবারটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বনগ্রাম মহারাজপুরে যেতে চায়….
১৯৫৮ সালের নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর তদানীন্তন পূর্বপাকিস্তান থেকে জীবন বাঁচাতে কলকাতায় পালিয়ে আসে গোপালগঞ্জের প্রতাপশালী বসু পরিবারটি। এরপর থেকে শুরু হলো কলকাতায় বসু পরিবারের নতুন জীবন। যে জীবনের প্রতি পদে পদে দুঃখ দুর্দাশা আর সংগ্রাম।একবেলা আহার জুটলে অন্যবেলা অনাহারী জীবন। যে বসু পরিবার বৃহত্তর ফরিদপুরের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ছিল হাজার বিঘা সম্পত্তির মালিক, এমনকি বসু পরিবারের বর্তমান রাজপ্রসাদ সমতুল্য বাড়িটি বর্তমান মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ভূমি অফিস।
অথচ তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের রোষানলে পড়ে গোপালগঞ্জ থেকে শূন্য হাতে কলকাতায় চলে যান। জমিদার বিনয় চন্দ্র বসু পরিবার নিয়ে ওঠেন কলকাতার একটি ভাড়া বাড়িতে। তখনকার দিনের ভাড়া ছিল ১০০টাকা। বাড়িতে ১০ জন লোক দু’বেলা মিলিয়ে ২০ জন। একবেলা কোনওমতে খেলে ওবেলায় খাবার জুটতো না। সকালের জল খাবার বলতে ছিল এক গ্লাস জল। অর্থের অভাবে এক ছেলে ও এক মেয়েকে ছাড়া আর বাকি ছেলে মেয়েদের পড়াশুনাও শেখাতে পারেননি।
যার এত প্রতিপত্তি সে ভারতে এসে ভিখারীর মত জীবন যাপন করেন। এই কষ্টে জমিদার বিনয় চন্দ্র বসু অসুস্থ হয়ে পড়েন, ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারেনি। বিনা চিকিৎসায় মারা যান বিনয় চন্দ্র বসুর স্ত্রী নিভা রাণী বসু।
বুক ভরা কষ্ট আর অভাবের সাথে যুদ্ধ করে ১৯৭২ সালে মারা যান বিনয় চন্দ্র বসু। ছবিতে জমিদার বিনয় চন্দ্র বসুর স্ত্রী নিভা রাণী বসু। স্বর্গীয় বিনয় বসুর নাতি নাতনিরা গোপালগঞ্জে বেড়াতে আসতে চাইছেন, এজন্য গোপালগঞ্জের বন্ধুদের সাহায্য চান। স্বর্গীয় বিনয় চন্দ্র বসুর বংশধর সন্দীপ বসু, তিনি কলকাতা নিবাসী।
হোয়াটসঅ্যাপ +91 79805 73974
সূত্র— বঙ্গভিটা,
সংকলন— অশোক সেনগুপ্ত।