অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২৪ অক্টোবর:
কলকাতা থেকে প্রসেনজিৎ রায় চৌধুরী নিজের ফেসবুক লিঙ্ক এবং এক পূর্বপুরুষের ছবি যুক্ত করে ‘বঙ্গভিটা’ গ্রুপে লিখেছেন, ঝালকাঠির বন্ধুদের সহযোগিতা পেলে আমার পূর্বপুরুষের শেকড় এর সন্ধান পেতে পারি।
আমার পূর্বপুরুষ বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার মহদিপুর গ্রামের জমিদার ছিলেন। জমিদার বিশ্বম্ভর রায় চৌধুরী আমার পূর্বপুরুষ। বিশ্বম্ভর রায় চৌধুরীর পুত্র হিরালাল রায় চৌধুরী এবং তাঁর পুত্র সূর্যকান্ত রায় চৌধুরী।
সূর্যকান্ত রায় চৌধুরী। ডাক্তার ছিলেন, ঝালকাঠি বন্দরে তাঁর খুব বড় দোতলা চেম্বার ছিল।ঝালকাঠিতে চৌরাস্তা বা চৌমাথায় মনসা ফার্মেসি ছিল ডাক্তার সূর্য কান্ত রায় চৌধুরীর চেম্বার। ডাক্তার পট্টিতে ছিল তাঁর ঝালকাঠির একটি বাড়ি, বড় রাস্তার পাশে। আরো কয়েকটি বাড়ি ছিল ঝালকাঠিতে।
মহদিপুর গ্রামে সূর্যকান্ত রায় চৌধুরীর পূর্বপুরুষদের ভস্ম নাকি এখনো রয়েছে নদীর ধারে। যতদূর শুনেছি দেশভাগের পর তাদের ফেলে আসা বাড়িঘরে গণি নামে একভদ্রলোক বসবাস করতেন।
সূর্যকান্ত রায় চৌধুরীর সেই সময়ের ছবি দিলাম।বাংলাদেশের বৃহত্তর বরিশালের ঝালকাঠিতে এনারই চেম্বার ছিল।
https://www.facebook.com/prosenjit.roychowdhury.14”
প্রায় একইভাবে কলকাতা-সংলগ্ন শ্যামনগরের রিম্পা ভট্টাচার্য নিজের ফেসবুক লিঙ্ক এবং তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের ছবি যুক্ত করে এই গ্রুপে লিখেছেন, “আমার ৭৮ বছরের শ্বশুরমশাই তার ছেড়ে যাওয়া বাড়িঘর সেই জায়গায় এখন কি আছে তার তার জানার খুব ইচ্ছে…
বয়স্ক মানুষটাকে তার জায়গার যদি কিছু ছবি আমি দেখাতে পারি তাই আপনাদের সাহায্যে সেই চেষ্টা মাত্র। আমার শ্বশুর মশাইয়ের কাছে যেটুকু শুনেছি উনাদের দুটো বাড়ি ছিল নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চক্রধা গ্রামে। ভট্টাচার্য বাড়ি বললে সবাই চিনতো। আমার শ্বশুর মশাইর নাম কার্তিক ভট্টাচার্য। উনার বাবার নাম ছিল মণীন্দ্র ভট্টাচার্য, জেঠু ছিলেন ওনার নাম যথাসম্ভব ফোনী ভট্টাচার্য। উনি উকিল ছিলেন।
বাড়ির সামনে পুকুর ছিল অনেক বড় জায়গা নিয়ে বাড়ি ছিল, ঠাকুর দালান ছিল। উনি শিবপুর স্কুলে পড়তেন। গ্রাজুয়েশন করেন জগন্নাথ কলেজ থেকে চক্রদা গ্রামে পুকুর আছে এরকম জায়গার কথা কেউ জানলে যেখানে ভটচাজ বাড়ি ছিল। ওনাদের আরেকটি বাড়ি ছিল পুরনো ঢাকার এক নম্বর নারিন্দা লেনের নারিন্দা পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে। বর্তমানে দুটি বাড়ির জায়গায় কী আছে? কেউ যদি জানেন একটু জানাবেন দয়া করে।
ছবিতে আমার শ্বশুর মশাই
যোগাযোগ https://www.facebook.com/profile.php?id=100023219135345”।
কী গভীর আকুতি! এত যুগ বাদেও দেশান্তরীদের বংশধরেরা ভুলতে পারছেন না পূর্বপুরুষদের কাছে শোনা ঘটনা। প্রশ্ন উঠবে না কেন, কোন পরিস্থিতিতে রায়চৌধুরী এবং ভট্টাচার্য পরিবারকে দেশান্তরী হতে হয়েছিল? যাঁদের জন্য নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে এভাবে পূর্ববঙ্গের সম্পন্ন হিন্দুরা দেশান্তরী হয়েছিলেন, তার কোনও বিচার হবে না?