পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মে: সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না ব্লকে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। গত এক বছরে ওই ব্লকে ষাট বছরের নিচে ৩০০ কৃষকবন্ধু প্রাপকের মৃত্যু হয়েছে। যাদের পরিবার ওই প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৬ কোটি টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এই মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ হৃদরোগে, ৪০ শতাংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিল।
ওই ব্লকে অসংখ্য মাছের বেআইনি ঝিল বা ভেড়ি রয়েছে। ঐ মাছের ঝিলে অতি দ্রুত মাছের ওজন বৃদ্ধির জন্য ঝিল মালিকরা যে খাবার দেয়, সেই খাবারে ফ্লোরাইড, আর্সেনিক ও সিসা মেশানো থাকে। ফলস্বরূপ মাটির পিএইচএ’র মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে ওই এলাকাগুলিতে বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ওই এলাকার জমির মাটিতে অম্ল ও ক্ষারের মাত্রাও ছয়ের কমে নেমে গিয়েছে। কার্যতঃ ওই ঝিলের মাটি বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে।
তমলুক মহকুমা মাছের ঝিল বিরোধী কৃষক সংগ্রাম কমিটি দীর্ঘদিন থেকে ঐ বেআইনী মাছের ঝিল তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে। কমিটির উপদেষ্টা নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, উপরোক্ত এলাকাগুলিতে বেআইনি মাছের ঝিল অবিলম্বে বন্ধ সহ মাটির গুণমান নষ্ট করার বিরুদ্ধে ও মাছের খাদ্য সরবরাহকারী কোম্পানীগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষজন যাতে সুস্থভাবে জীবন-যাপন করতে পারে, সেই দাবি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী ও কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাজীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে এ ব্যাপারে জেলা ও রাজ্য প্রশাসন সতর্ক না হলে আরো বহু মানুষের প্রাণ যাবে বলে উনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।