পার্থ খাড়, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৭ নভেম্বর: গত ১০ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার পৌরপ্রধান এক বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে আগামী ১ লা ডিসেম্বর থেকে হুগলি নদীতে চলা লঞ্চ ও ভেসেলে যাতায়াতের জন্য ফেরি চলাচলের ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। নিম্নে সেই তালিকা দেওয়া হল।
বর্তমান ভাড়া ও বর্ধিত ভাড়া-
* সাধারণ যাত্রী ভাড়া আগে ছিল২০ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ২৭ টাকা।
* বিনা টিকিটের জন্য ফাইন ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
* বড় মালের টিকিট ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়।
* মাঝারি মালের টিকিট-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
* ছোট মালের টিকিট আগে ছিল ১০ টাকা এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা।
* ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক ভাড়া ৭০টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা হয়েছে।
* সাধারণ যাত্রীর ক্ষেত্রে মাসিক ভাড়া করা হয়েছে ১৩০০ টাকা।
অন্যায় ও অযৌক্তিক ওই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে পরিবহন যাত্রী কমিটি’র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে আজ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক, হলদিয়া ও ডায়মন্ডহারবারের মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হলদিয়া মহকুমা এলাকার এক বিরাট সংখ্যক জনসাধারণ হুগলী নদীর কুকড়াহাটি ফেরিঘাট হয়ে ডায়মন্ডহারবারের মাধ্যমে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলার বিভিন্ন অংশে যাতায়াত করেন।
কমিটির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক স্মারকলিপিতে অভিযোগ করেন, উপরোক্ত বর্ধিত ভাড়াবৃদ্ধির তালিকা যাত্রীস্বার্থ বিরোধী। শুধু তাই নয়, সাধারণ যাত্রীরা এর পরিপেক্ষিতে চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হবে। সেজন্য আমরা ‘পরিবহন যাত্রী কমিটি’র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে অবিলম্বে অন্যায় ও অযৌক্তিক ওই বর্ধিত ভাড়ার তালিকা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ফেরিঘাটে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত সহ লঞ্চ নয়, ভেসেল চালুর দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণবাবু জানান, আগামীকাল থেকে মহকুমা ফেরি যাত্রী কমিটির পক্ষ থেকে কুকড়াহাটি ফেরিঘাটে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানের মাধ্যমে যাত্রীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। যা পরিবহন মন্ত্রীকে ডেপুটেশনের মাধ্যমে ওই গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ওই একই দাবিতে গতকাল ডায়মন্ডহারবার ও হলদিয়ার মহকুমা শাসক কে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দলের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন মধুসূদন বেরা, মণিরুল ইসলাম, ভবানীপ্রসাদ দাস, নারায়ণ প্রামাণিক, শুভেন্দু শেখর দাস প্রমুখ।