Flower market, Kolaghat, কোলাঘাট ফুলবাজারকে সমস্ত রকম পরিষেবাযুক্ত আধুনিক ফুলবাজার হিসাবে নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৯ নভেম্বর: রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুলের বাজার হলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ফুলবাজার। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের কোলাঘাট স্টেশন ডাউন এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের নিচে গড়ে ওঠা এই ফুলবাজার প্রতিদিন ভোর
৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বসে। ওই প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন রেলের খাদের এক কোণে মাত্র ১৪৬৯ বর্গ মিটার জায়গার উপর বসা এই ফুলবাজারে হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী প্রতিদিন ফুল কেনাবেচার কারণে আসে। রেল দপ্তর বাজারে আগত প্রত্যেক চাষির কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা ও ফুলব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত ফেরিওয়ালা(তেবাজারী) টিকিট বাবদ অর্থ আদায় করে। অথচ বাজারে নেই মাথার উপর আচ্ছাদন, নেই ফুলবিক্রির জন্য মেঝে, পানীয় জল ও পর্যাপ্ত আলো, শৌচাগার প্রভৃতির বন্দোবস্ত। ফলস্বরূপ বাজারে আগত ক্রেতা, বিক্রেতা সহ প্রায় ৫ সহস্রাধিক মানুষকে প্রত্যেকদিন এক পুঁতিগন্ধময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৌন্দর্যের প্রতীক ‘ফুল’ কেনাবেচা করতে হয়। এহেন গুরুত্বপূর্ণ এই ফুলবাজারটিতে ফুল সংরক্ষণ ব্যবস্থা সহ আধুনিক ফুলবাজার হিসেবে গড়ে তোলার দাবিতে আজ কোলাঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে কোলাঘাটে রেলের আধিকারিক দেবাশীষ সেনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা তথা সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, সভাপতি দেবব্রত কোলে, সহ-সভাপতি অনিল প্রামাণিক, যুগ্ম সম্পাদক দিলীপ প্রামানিক ও বিশ্বজিৎ মান্না, সহকারী সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ কোলে, কোষাধ্যক্ষ অশোক পাল, সদস্য বিশ্বজিৎ নায়েক প্রমুখ।

নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, গত ২০০০ সালে এই বাজারের বিষয়ে রাজ্যের হর্টিকালচার দপ্তরের মন্ত্রী শৈলেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী ২০০১ সালের ২৯ জানুয়ারি ফুলবাজারটি পরিদর্শন করেন এবং ২ এপ্রিল রাইটার্সের রোটান্ডায় রেলওয়ে দপ্তরের খড়্গপুরের উচ্চ আধিকারিকের উপস্থিতিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তমত বাজারের উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে সেই সময় কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও আজও এ ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ করা হয়নি।

এমতাবস্থায় যাহাতে উপরিউক্ত পরিষেবামূলক ব্যবস্থা সহ বাজারটিকে দ্রুত আধুনিক ফুলবাজার হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আজ এই স্মারকলিপি পেশ করা হয়। অবিলম্বে এ ব্যাপারে কার্যকরী কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে সমিতি ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ীদের যুক্ত করে রেল অবরোধ সহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে বলে জানান নারায়ণবাবু।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপরোক্ত দাবিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্যের হর্টিকালচার দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় ও সচিব স্মারকি মহাপাত্র এবং ৭ নভেম্বর কোলাঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে জেলাশাসক ও তমলুকের সাংসদকে গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *