বাড়িতে থেকে করোনা জয়ী উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য, জানালেন নিজের যুদ্ধ জয়ের অভিজ্ঞতা

অলোক ঘোষ, আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৭ আগস্ট: বাড়িতে থেকেই করোনা জয়ী হলেন উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। না লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নয়, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বাড়িতে থেকেই করোনাকে হারানো সম্ভব। নিজের করোনা জয়ের সেই অভিজ্ঞতাই জানালেন উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা মানেই ভয় নয়, সঠিক নিয়ম মেনে চললে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সত্যজিৎ বন্দোপাধ্যায় ২৪ দিন অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে নিজের বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ভাল আছেন সত্যজিৎ বাবু। শরীর সুস্থ হতেই উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছেন। নতুন করে কাজে ফিরেছেন তিনি। শহিদ দিবসের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বর্তমান পৌর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর করোনা পরীক্ষা করা হয় তার। ২৪ তারিখ তিনি জানতে পারেন তিনি করোনা পজিটিভ। তারপর নিজেই বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন ইছাপুর আনন্দমঠ এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বাড়িতে থেকে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলেছেন সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, “ইমিউনিটি শক্তি বাড়াতে বাড়ির রান্না করা ডাল, ভাত, রুটি, লেবু নিয়ম করে পেট ভরে খেলে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন করোনা সংক্রমিত রোগী। করোনা সম্পর্কে কেউ আতঙ্কিত হবেন না। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলুন। সচেতন থাকুন। করোনা আপনাকে কাবু করতে পারবে না। বাড়িতে থেকে করোনার সংক্রমণ মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়, আমি নিজে তার প্রমাণ।” তাই যাদের শ্বাস কষ্টের খুব সমস্যা নেই তারা বাড়িতে থেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে, এদিন এই বার্তাই দিলেন করোনা জয়ী উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের পৌরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *