২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় সভা হবেই! রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে গেলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করবে বিজেপিও, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২২ নভেম্বর: আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মেগা সমাবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। কলকাতা পুলিশের তরফে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির রাজ শেখর মান্থার বেঞ্চ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে এই সভার অনুমতি দেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার‌। এবার বিজেপিও জানালো রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গেলে তারাও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।

২৯ নভেম্বর সভা হচ্ছে বলে জোর দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু সভা হবে কি না তা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্য যদি ডিভিশন বেঞ্চে যায়, তাহলে বিজেপিও যাবে। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “এই রাজ্য সরকার কতটা নির্লজ্জ যে তারা মনে করে ওই জায়গায় শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসেরই সভা করার অধিকার রয়েছে। আর অন্য কারো নেই। পুলিশ যে ওখানে বিজেপিকে সভা করতে দিচ্ছে না, তার কোন বাস্তব ভিত্তি আছে? ওখানে তৃণমূল সভা করতে পারবে, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সভা করতে পারবে না?

বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে যে, ওই সভায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের থাকার কথা রয়েছে। সুকান্ত এই বিষয়ে বলেন, “পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসন এই ব্যবহার করছে এটা ভাবতে অবাক লাগে। তৃণমূল মনে করে যে শুধু তারাই রাজা, আর কেউ রাজা হতে পারবে না। এটা কী ধরনের গণতন্ত্র? গণতন্ত্রের কথা এরা মুখে বলে? এই যে ইন্ডিয়া নামে একটি জোকারদের জোট করেছে। ওখানে গিয়ে এই কথাগুলো বলতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ২৯ তারিখে সভা হবে, রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে, বিজেপিও যাবে। আবার আদালতে কানমোলা খাবে।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন, তৃণমূল আসলে ভয় পাচ্ছে বলেই সভায় বাধা দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার দেখবে কত মানুষ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পায়নি। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা সেই টাকা মেরে দিয়েছে।”

অন্যদিকে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অসুস্থতা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “এটা নতুন কিছু নয়। আসলে এসএসকেএম এখন তৃণমূল চোরদের অভয়ারণ্য। যেই চুরি করে সে গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে অসুস্থতার ভান করে এসএসকেএমে ঢুকে পড়ে। আর এত ভালো হাসপাতাল যে এতদিন ধরে কাকুকে ঠিক করতে পারছে না। জিজ্ঞেস করলেই বলে কাকু নাকি স্ট্রেসে আছে।”

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আজ ছিল শেষ দিন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “যেমন প্রত্যেক বছর হয়, তেমনি এ বছরও হচ্ছে। প্রত্যেক বছর এই সামিটের মুখ্যমন্ত্রী নতুন নতুন কুমির ছানা দেখাচ্ছেন। কখনো আম্বানি, কখনো আদানি।” তাঁর কথায়, তাজপুরে তাজমহল হবে।

অভিযোগের সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “গণতন্ত্র যদি বিরোধী শূন্য থাকে তাহলে সে গণতন্ত্র টেকে না, প্রেসার কুকারে যেমন সেফটি ভালব থাকে, গণতন্ত্রে বিরোধীরা হচ্ছে সেফটি ভালব। তাইতো তৃণমূল নিজেদের মধ্যে খুনাখুনি করছে। আগামী দিনের তৃণমূল বলে দলটা আর থাকবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *