জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি: আজ ঝাড়গ্ৰাম শহরের বলাকা সভাগৃহে হিউম্যান রাইটস ল নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে অরণ্যের অধিকার আইন ও জমি সম্পর্কিত অন্যান্য আইন সম্পত্তির অধিকার ও জঙ্গল মহলের সমস্যা ও মহিলাদের উপর পারিবারিক হিংসার বিষয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়।
বনাধিকার আইন-২০০৬ পাশ হয়েছে দীর্ঘদিন অথচ জঙ্গল মহলের মানুষ এই আইনের সুবিধা তো পাননি উপরন্তু বন দপ্তর তাদের পারম্পরিক ভাবে দখলে থাকা চাষের জমিতে সামাজিক বনসৃজনের নামে গাছ লাগিয়ে দিচ্ছে ও দিয়েছে। জঙ্গলের জমিতে চাষ করে জীবিকা চলতো এমন বহু মানুষ রয়েছে যারা বনদপ্তরের জন্য আইনি অধিকার পাচ্ছেন না ও সর্বশান্ত হয়ে দিনমজুরের কাজ করছেন। এছাড়াও বনভূমির উপর পাট্টাকৃত জমিতেও বন দপ্তর থেকে গাছ লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জামবনি ব্লকের আখুয়াবাধা গ্ৰামের হরেন মাহাত, ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের গোপাল মল্লিক প্রমুখ।
সরকারি খাস জমিতে বসবাস করছেন অথচ আবেদন করেও পাট্টা পাননি এমন অভিযোগ অনেকের। জামবনী থেকে বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্ৰামে পুখুরিয়াতে পাট্টা পাওয়া জমিতে জোর করে ক্লাব ও অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শম্ভু মল্লিক। মুখ্যমন্ত্রী, ডিএম, এসডিও বিডিওকে জানিয়ে কিছুই হয়নি।
নয়াগ্রামে প্রকৃতির সন্তান লোধা শবরদের উপর বন দপ্তরের অত্যাচার অব্যাহত। দিলীপ প্রামানিক, রাজু প্রামানিক বাবলু ভক্তা অভিযোগ করেন। ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি চলছে বনদপ্তরের।
বেলপাহাড়ির বামুনডিহার নরহরি বর্ধন বলেন, এক হাজারেরও অধিক পরিবার জমি রেকর্ড করতে পারছেন না অবৈধ চক্রের জন্য। বহু মানুষ দুয়ারে সরকারে আবেদন করেছেন। ঝাড়গ্ৰাম জেলার প্রায় সবকটি ব্লক থেকে বঞ্চিত ও বন দপ্তর থেকে অত্যাচারিত ৫০ জন পুরুষ ও মহিলা উপস্থিত ছিলেন। হিউম্যান রাইটস ল নেটওয়ার্কের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রজিৎ দে, সৌমিত্রা কর্মকার, ঝাড়গ্ৰামের অ্যাডভোকেট মলয় বর্ধন সমাজকর্মী সৌমেন রায়, পশ্চিমবঙ্গ লোধা শবর সমাজের জেলা সম্পাদক তারাপদ মল্লিক ও জঙ্গল মহল মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি যতীন মাহাত। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন হিউম্যান রাইটস ল নেটওয়ার্কের পক্ষে সমাজকর্মী ঝর্ণা আচার্য।