আমাদের ভারত,১৯ ফেব্রুয়ারি: সুপ্রিম কোর্টের নিয়োজিত দুই মধ্যস্থতাকারী বুধবার শাহিনবাগে যান। কথা বলেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। এরফলে এই আন্দোলন অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা দেখা গেছে। যদিও বুধবারের আলোচনায় তেমন কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার ফের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা কথা বলবে বলে জানা গেছে।
কোর্টের নির্দেশ মত শাহিনবাগে গিয়ে প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিয়োগ করা দুই মধ্যস্থতাকারীর সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রমাচন্দ্রন। প্রথম দিন শাহিনবাগে গিয়ে তাদের আহ্বান ছিল, ‘আসুন সবাই মিলে আমরা একটা সমাধান সূত্র বের করি’। যদিও এই দিনের আলোচনায় কোন সমাধান না হওয়ায় আবারও আগামীকাল সেখানে যাবেন তারা।
শাহিনবাগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে প্রতিবাদ করা মৌলিক অধিকার। কিন্তু তার সঙ্গে বিচারপতিরা এও বলেছেন সবাই যদি প্রতিবাদ করতে রাস্তায় বসে পড়েন তাহলে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? তাই প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলনের বিকল্প জায়গা খুঁজতে বর্ষীয়ান দুই আইনজীবীকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট।
এরপর বুধবার শাহিনবাগে আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তারা।শাহিনবাগে প্রতিবাদীদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই মধ্যস্থতাকারী বলেন, “শীর্ষ আদালত আপনাদের প্রতিবাদের অধিকারকে মেনে নিয়েছে। আমরা সবার কথা শুনব আমরা এমন একটা সমাধানে পৌঁছাব যাতে সারা বিশ্বে একটা উদাহরণ হয়ে থাকে। ” সবাই মিলে সমাধানসূত্র বের করার আহ্বান জানান দুই আইনজীবী।
কিন্তু এই আলোচনায় সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়। মধ্যস্থতাকারীরা বলেন তারা সংবাদমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে কথা বলতে চান। কিন্তু প্রতিবাদীরা তাতে রাজি হননি। শেষপর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা হয় দুপক্ষের। আপনাদের প্রতিবাদের অধিকার আছে। সঙ্গে রাস্তা দিয়ে চলার অধিকার রয়েছে অন্যদের।
শাহিনবাগ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশনারের বক্তব্য ছিল জোর করে বসে আছেন আন্দোলনকারীরা।এটা বেআইনি। দিল্লি-নয়ডার সংযোগ রক্ষাকারী রাস্তা আটকে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ দীর্ঘদিন ধরে। এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট দুই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে। তারা বুধবার রাজধানীর শাহিনবাগে গিয়ে অবস্থান কারীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তারা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে প্রতিবাদ অবস্থান অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন। সূত্রের খবর, প্রতিবাদকারীরা জানিয়ে দিয়েছে তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।