আমাদের ভারত, ১৬ জুলাই: লাভ জিহাদ ধর্ম পরিবর্তন রুখতে উত্তরপ্রদেশ সরকার একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার এই ইস্যুতে যোগী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করলেন উত্তরপ্রদেশের এক মৌলানা। প্রকাশ্যে তিনি ঘোষণা করলেন, আগামী ২১ জুলাই সকালে ১১টায় বরেলির একটি স্কুলে গণ ধর্ম পরিবর্তনের অনুষ্ঠান হবে। সেখানে হিন্দু থেকে মুসলিম হবে ২৩ জন যুবক-যুবতী।
বরেলির এক দরগার মৌলানা তৌকির রাজা বলেন, গত দু’ বছর ধরে ধর্মান্তকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে সরকার। এর ফলে মৌলানাদের উপর ব্যাপকভাবে চাপ বেড়েছে। বিপুল সংখ্যায় হিন্দুরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে চাইছে। তাই সরকারি নিষেধাজ্ঞার বাঁধ ভাঙ্গার সময়ে এসেছে। নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজা ঘোষণা করেন আগামী ২১ জুলাই সকাল ১১টায় বরেলির খলিল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ২৩ জন হিন্দু যুবক যুবতীকে নমাজ পড়িয়ে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হবে। সেখানে ৫ হিন্দু যুবক-যুবতী নিজেদের ধর্ম পরিবর্তন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। মৌলানা রাজার এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক শোড়গোল শুরু হয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্ম পরিবর্তনের দিনক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি এই কাজে যোগী সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন মৌলানা। প্রশাসনের কাছে ২৩ জন যুবক-যুবতীর ধর্ম পরিবর্তনের জন্য লিখিত অনুমতি চেয়েছেন রাজা। সাংবাদিকরা রাজাকে প্রশ্ন করেন, যদি প্রশাসন এই অনুমতি তাকে না দেয় সে ক্ষেত্রে তিনি কী পদক্ষেপ করবেন? এ প্রসঙ্গে রাজা বলেন, দেশজুড়ে যখন মুসলিম যুবক-যুবতীরা মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু হচ্ছেন তখন তো তাদের জন্য কোনো বাধা আসছে না। কোনো অনুমতির প্রয়োজন পড়ছে না। তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কেন উল্টো নিয়ম হবে? যদি প্রশাসন অনুমতি না দেয় সে ক্ষেত্রে কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না তা যথোপযুক্ত কারণ জানাতে হবে সরকারকে।
উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তকরণ আটকাতে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বছর দুয়েক আগে কড়া সুরে জানিয়েছিলেন, সাবধান করে দিচ্ছি। এখনই না শোধরালে ফল ভুগতে হবে। এরপর লাভ জিহাদের মাধ্যমে ধর্ম বদল রুখতে বিধানসভায় কড়া আইন পাস করে যোগী সরকার। যেখানে বলা হয়, পরিচয় লুকিয়ে জোর করে বিয়ের নামে ধর্ম পরিবর্তন করলে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। শুধু তাই নয় বিয়ের আগে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য দু’ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে। এর অন্যথা হলে ১০ বছর অব্দি কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই যোগী রাজ্য এবার প্রকাশ্যে গণধর্ম পরিবর্তনের ঘোষণা করল মৌলানা। এখন দেখার, যোগী সরকার এই ইস্যুতে কী পদক্ষেপ নেয়।