সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৮ জুলাই: পুরুলিয়া জেলাজুড়ে বেআইনি বালি পাচার চলছে। সেই পাচারের মাস্টার মাইন্ড জেলা সভাধিপতি। বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এভাবেই পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জির দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তাঁর এই বক্তব্যকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো অর্ডিনেটর সুজয় ব্যানার্জি।
আজ পুরুলিয়া জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার কার্যালয়ে বেআইনি বালি, পাথর, জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলীয় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বিজেপি জেলা সভাপতি। বলরামপুর এবং জয়পুরের বিধায়ক ও অন্যান্য নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে এই ভাবে জেলা পারিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বালির রমরমা অবৈধ কারবার চলছে। আর মাফিয়াদের মাষ্টার মাইন্ড জেলাসভাধিপতি। যাঁর অঙ্গুলি হেলনে এই অবৈধ কারবার চলছে। তিনি চাইলে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। এর সঙ্গে থানার ওসি, আধিকারিকরা যুক্ত রয়েছেন। বিজেপি প্রতিবাদ করতে গেলেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়।”
যদিও এই মন্তব্যকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিজেপির সভাপতি প্রমাণ করতে পারলে সভাধিপতির চেয়ার ছেড়ে দেব। আর যদি প্রমাণ না করতে পারেন মানহানির মামলার জন্য তিনি যেন প্রস্তুত থাকেন।” সভাধিপতি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “নদী ঘাট লিজে নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখার্জি ও তাঁর ভাই। তৃণমূলের কোনও নেতা নয়।”
এদিকে দুই দলের নেতার অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম এখন জেলার রাজনীতি।