আমাদের ভারত, বাংলাদেশ, ১৪ সেপ্টেম্বর: ২০১৮ সালের সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে শুক্রবার গণঅনশন হবে। রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১২ জেলা ও ২ মহানগরে চলবে গণঅনশন ও গণঅবস্থান।
উদ্যোক্তা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, “সরকারি দলের বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এটি রূপায়ণের দাবিতে রংপুর বিভাগের রংপুর জেলা ও মহানগর, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমণিরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও গাইবান্ধা জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হবে।
গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি চলাকালে স্থানীয় অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দও এতে বক্তব্য রাখবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সহ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর দাবি মেনে নিয়ে বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব বেশকিছু অঙ্গীকার করে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক জাতীয় কমিশন গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন।
কিন্তু আর একটি জাতীয় নির্বাচন সমাগত হলেও এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লিগ সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এ কারণে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে সেপ্টেম্বর মাসের বিভিন্ন দিনে দেশের বিভিন্ন বিভাগের জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় পর্যায়ে আগামী ২২-২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ৪৮ ঘণ্টার গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে পরবর্তী ঘোষণা দেওয়া হবে।”