Delhi High court, বিবাহিত হিন্দু মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ে, ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গাইডলাইন দিল দিল্লি হাইকোর্ট

আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি: আইনকে ফাঁকি দিয়ে বলপূর্বক ধর্ম বদল, এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল এবার দিল্লি আদালত। ধর্ষণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। তাই দিল্লি হাইকোর্ট এই ইস্যুতে নির্দিষ্ট গাইড লাইন জারি করল। যার ধর্ম বদল করা হচ্ছে তাকে সব জানিয়ে তার অনুমতি নিয়েই ধর্মান্তকরণ করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত, অর্থাৎ কেউ ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলে সে বিষয়ে তার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে যে তিনি নিজের ইচ্ছায় কাজ করছেন তাকে সেটা হলফনামায় জানাতে হবে।

একটি ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন এক অভিযুক্ত। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এই গাইডলাইন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে দাবি করেছিলেন, অভিযোগকারীনি সঙ্গে তার বোঝাপড়া হয়ে গেছে, তারা বিয়েও করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আদালত।

দেখা যায় ব্যক্তি নিজে একজন মুসলিম আর অভিযোগকারিনী মহিলা হিন্দু। দু’জনের স্ত্রী ও স্বামী বর্তমান আছেন। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি মুসলিম হওয়ায় আইন অনুযায়ী তিনি আবার বিয়ে করতে পারলেও অভিযোগকারিনী মহিলা হিন্দু। আর আইন অনুযায়ী প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ না হলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে এবং ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত ও নির্দিষ্ট গাইড লাইন জারি করে।

দিল্লি হাইকোর্ট গাইডলাইন দিয়ে বলেছে, ধর্মান্তকরণের আগে বয়স, বিয়ে সংক্রান্ত প্রমাণ দিতে হবে দু’পক্ষকে। ধার্মান্তকরণের কী প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো জেনে নিজের ইচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছেন এ কথা জানাতে হবে হলফনামায়। ধর্মান্তকরণ ও বিয়ের শংসাপত্র এমন ভাষায় ইস্যু হওয়া প্রয়োজন যে ভাষা দু’পক্ষই বুঝতে পারে।

আদালত শুধু ধর্মান্তরিত করার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তা নয়, ধর্মান্তরিত ব্যক্তি যদি নিজের পুরনো ধর্মে আবার ফিরতে চায় তাহলে কোন ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *