অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, কলকাতা, ৮ মার্চ: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও যুগ্ম আহ্বায়ক জাতীয় পার্টি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইং, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ‘ব্রিগেড ৭১’ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক ‘সবুজ আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক সাহিন আরা সুলতানা।
(১) মহিলাদের ক্যারিয়ার তৈরীর প্রতিযোগিতায় ঘর-সংসার কি অন্তরায়?
উঃ—আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না ঘর সংসার কেরিয়ার তৈরির পথে অন্তরায়| যে সব মহিলা কেরিয়ারে সফল হয়েছেন, তাঁরা কি সবাই ঘর সংসার বিসর্জন দিয়েছেন? আমি যে দেশে থাকি, সেই বাংলাদেশে মহিলারা রাজনীতিতে এত সফল, তাঁরা কি ঘর সংসার করেননি? আমাদের প্রধানমন্ত্রী, মাননীয়া শেখ হাসিনা, তিনিও তো একজন নারী, তিনি কি সংসার সামলান না? যেমন দক্ষতার সঙ্গে তিনি দেশ সামলাচ্ছেন, তেমনই দক্ষতার সঙ্গে রান্না করে সবাইকে খাওয়ান!
২) বিয়ে-সন্তানের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসায় সেই মহিলার এবং সামগ্রিকভাবে সমাজের কি কোনও সমস্যা হতে পারে?
উঃ— আসলে বিয়েটাও মহিলাদের কাছে একটা কেরিয়ার ডিসিশন| কাকে বিয়ে করছেন, কখন বিয়ে করছেন| ভারতীয় বংশোদ্ভুত মহিলা, ইন্দ্রা নুয়ি, যিনি পেপসিকোর সিইও হয়েছিলেন, তিনি এই কথাটা বলেছিলেন|
বিয়ে, সন্তানের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসলে কোনও মহিলার কোনও ক্ষতি হয় না, সমাজেরও কোনও ক্ষতি হয় না। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–রা কোনও বৃত্তে বাধা পড়েননি বলে কি সমাজের ক্ষতি হয়েছে?
(৩) “প্রভু, মিটিয়াছে সাধ? এই সুললিত
সুগঠিত নবনীকোমল সৌন্দর্যের
যত গন্ধ যত মধু ছিল সকলি কি
করিয়াছ পান! আর-কিছু বাকি আছে?”
নয় দশক আগে রবীন্দ্রনাথের লেখা। এখনও কি সমাজে নারী ‘নবনীকোমল সৌন্দর্যের’ প্রতীক? না, নারীর ভাবমূর্তি আমূল বদলে গিয়েছে?
উঃ—আমার মনে হয় না| আমি এটা বলছি না স্টিরিওটাইপ বা গ্লাস সিলিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গিয়েছে। ভেঙে যায়নি বলেই হয়তো সানিয়া মির্জার মতো সফল নারীকে একজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার ধাক্কা দিয়ে যান| আবার উল্টোটাও তো সত্যি! কমলা হ্যারিস বা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিও মেলানি, তাঁদের কি আর সৌন্দর্য দেখা হয়? তাঁরা পাবলিক লাইফে কতটা সফল বা কিরকম পারফর্ম করছেন, সেটাই বিচার্য হয়ে দাঁড়ায়|