স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৮ সেপ্টেম্বর: ডায়াবেটিস নির্মূল করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায় সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে রবিবার শান্তিপুরে ৬.২ কিলোমিটার এক ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়। অনলাইনের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১০-৮৬ বছরের প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিযোগিতা পাঁচটি বিভাগে ভাগ করা হয়। ছেলেদের তিনটি বিভাগ যথা- ১৪-৩০, ৩০-৪৯, এবং ৫০ ঊর্ধ্ব।
অপরদিকে মেয়েদের দুটি বিভাগ ১৪-৩৯, ও ৪০ ঊর্ধ্বদের আবেদন করতে বলা হয়। প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। মেয়েদের মধ্যে ৮৬ বছরের প্রতিযোগী কুমুদিনী বিশ্বাস এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে কুমুদিনীর স্বামী মারা যান। তখন থেকেই তার জীবনের লড়াই শুরু। দত্তফুলিয়ার কলমবাগানে তার বাড়ি। সেখানেই পাড়ার নাত বৌ অর্চনা হালদারের হাত ধরে যান যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সেখানে তিনি ৪০০ মিটার রানে প্রথম পুরস্কার পান। এরপর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এমন কি রাশিয়া থেকেও তিনি পদক নিয়ে আসেন।
এদের মধ্যে ৭০ বছরের একজন প্রতিযোগী ছিলেন। খড়গপুর, মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আজ এখানে প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
চোখে পড়বার মতন বিষয় এই যে, এখান থেকেই ভাঙ্গা ঘরে থেকেও অ্যাথলেটিকস হবার স্বপ্ন দেখেন এখনো যুথিকা রায়। সংসারে আর্থিক অনটন, তবুও তার মনে আত্মবিশ্বাসের অভাব নেই। চা বিক্রি করে সংসার চালান। তার স্বপ্ন একজন সফল অ্যাথলেটিকস হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা। আজ তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। যিনি উত্তর ২৪ পরগনার নিউব্যারাকপুর থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন লেখিকা রিনা ভদ্র। দেশ সহ একাধিক পত্রপত্রিকায় তিনি লেখেন। কর্মজীবনের ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিজের বডি ফিটনেসের ওপর জোর দেন। তাইতো আজ তার ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিতে শান্তিপুরে আসা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অ্যাম্পেল ফাউন্ডেশন।