আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৪ আগস্ট: মঙ্গলবার ভোর রাতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর থানার অন্তর্গত কাছারি বাজারের কাপড় পট্টি। আগুনের গ্রাসে কার্যত ভস্মীভূত হয়ে যায় এই বাজারের প্রায় ছোট বড় একশো দোকান। দমকলের এগারোটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় দীর্ঘক্ষণ পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই দাবি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার ভোর দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বারুইপুর থানার ঠিক উল্টোদিকে অবস্থিত কাছারি বাজারের কাপড় পট্টির একটি ইমিটেশনের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। তা থেকেই আগুন আশপাশের দোকানগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। এই বাজারের নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথম বিষয়টি দেখতে পান। তারাই বারুইপুর থানা ও দমকলকে খবর দেন। কিন্তু দমকল দেরি করে এলাকায় আসে বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। কাপড়ের মতো দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এই বাজারের দোকানদার, ব্যবসায়ীরা। আগুন থেকে কেউ কেউ নিজের দোকানের সরঞ্জাম বাঁচানোর চেষ্টা করেন তো, কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। ধীরে ধীরে দমকলের মোট এগারোটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। বেলা দশটা নাগাদ আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধান সভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। বিমান বাবু চলে যাওয়ার পর সেখানে আসেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজন বাবুও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের সাথে কথা বলেন ও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন। পাশাপাশি কিভাবে এই অগ্নিকান্ড ঘটল সে বিষয়ে তদন্তের দাবি করেন। এর পিছনে কোনও নাশকতা রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি। কার্যত সুজন চক্রবর্তীর এই কথা শুনে ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি মানুষের অসময়ে রাজনীতি করতে এসেছেন সুজন। তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে বের করে দেন তৃণমূল নেতারা।
সুজনের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে হেনস্থা করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বারুইপুর থানার পুলিশ কর্মীরা সমস্ত বিষয়টি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনেন। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শট সার্কিট থেকেই অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

