আমাদের ভারত, ২৯ জানুয়ারি: ব্যারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্য আন্দোলনের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে একেবারে অ্যাকশন মডে দেখা গেল পুলিশকে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেট ভাঙ্গার চেষ্টা করতেই চুড়ান্ত সক্রিয় ভূমিকা চোখে পড়ল পুলিশের, সঙ্গে র্যাফের। বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হতেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেধড়ক মারধর করতে দেখা গেছে এদিন পুলিশ। লাঠিচার্জের সাথে চড়- থাপ্পর, লাথি, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, কোনটাই বাদ দেয়নি আজ পুলিশ বিজেপির মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে আজ আইন অমান্য আন্দোলনে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ব্যারাকপুর। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের এলাকায় সার্বিক আইন শৃঙ্খলার অবনতি প্রতিবাদে আইন অমান্য মিছিল হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। লালকুঠির মোড় থেকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিস ঘেরাও- এর জন্য মিছিল এগোচ্ছিল। মিছিল আটকাতে চিড়িয়া মোড়ে চারটি ব্যারিকেট করে পুলিশ। ব্যারিকেট ভাঙ্গতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তারপরেই শুরু হয় খন্ড যুদ্ধ।
পুলিশের অ্যাকশন শুরু হতেই ভিড়ের মধ্যে থেকে ইট বৃষ্টি হতে শুরু করে বলে অভিযোগ। কিন্তু বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়, পুলিশও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দিকে ঢিল ছুড়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “পুলিশ ইট ছুড়েছে, তাতে আমাদের বহু লোক আহত। কারো পাঁজর ভেঙ্গে গিয়েছে, কারো পা ভেঙে গিয়েছে। প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের যে দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের একাধিক ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, তা এক কথায় তা খণ্ড যুদ্ধের থেকে কিছু কম নয়। শুধু জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল বা লাঠিচার্জ নয়, ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ চড়- থাপ্পর মারতে উদ্যত হয়েছিল। এক ব্যক্তি পুলিশের লাঠিচার্জে রাস্তার ধারে ফুটপাতে পড়ে যান, সেই সময় তাকে পুলিশ বেধড়ক মারে। এক পুলিশ কর্মী ওই ব্যক্তির মুখে লাথি পর্যন্ত মারেন, সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কেউ আবার পুলিশের তাড়া খেয়ে ভয়ে লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছেন, তাদের উপরেও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভিড় থেকে পুলিশের উদ্দেশ্যে ইট বৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল বড় বড় ঢিল। পুলিশ কর্মীদের দেখা গিয়েছে পাল্টা ঢিল রাস্তা থেকে তুলে ভিড়ের দিকে ছুঁড়ে মারতে।
কার্যত মিছিল ছাত্রভঙ্গ করতে কোনো খামতি রাখেনি পুলিশ। সম্পূর্ণ একশন মোডে দেখা গেছে পুলিশকে।
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, দলীয় কর্মী, সমর্থকদের মাথায় লাঠিচার্জ করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে গিয়ে তিনি বলেন, “মাথায় কেউ কখনো লাঠিচার্জ করে?” এক পুলিশ কর্মীর নাম উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ার দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।